গ্রেফতার করে গণহত্যার দায় এড়াতে পারবে না সরকার: ছাত্র ইউনিয়ন

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার সারাদেশে রাজনৈতিক কর্মীসহ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বাসা-মেস থেকে গণহারে গ্রেফতার করছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। সংগঠনটি জানায়, এলাকায় এলাকায় পুলিশ-ছাত্রলীগের যৌথ মহড়ায় নির্যাতিত হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেয়ার দায়ে সরকারি হিসাবমতে, গত পাঁচ দিনে ৯ হাজার ছাত্র জনতাকে গ্রেফতার  করে দায়ের করা হয়েছে অসংখ্য মিথ্যা মামলা। 

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রাগীব নাঈম ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানায়, সারাদেশে ‘কোয়ালিটি অ্যারেস্ট’ এর মাধ্যমে ‘কোয়ালিটি স্বৈরাচাররে’ পরিণত হয়েছে সরকার। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিভিন্ন সংস্থা নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার ও সর্বজনীনন মৌলিক মানবাধিকারের তোয়াক্কা না করে গুম করে নির্যাতন ও বেআইনি উপায়ে গ্রেফতার করছে।

এ ধরনের অসাংবিধানিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। আন্দোলনের সমন্বয়কসহ সারাদেশে শিক্ষার্থীদের গণগ্রেফতার প্রমাণ করে জনমানুষের আন্দোলনে ভীত হয়ে সরকার দমন-পীড়নের লাইন গ্রহণ করেছে। কিন্তু ইতিহাস শিক্ষা দিয়েছে এই ধরনের কার্যক্রম হচ্ছে স্বৈরাচারের কফিনে শেষ পেরেক।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে গেছে ডিবি। এর আগেও নাহিদসহ একাধিক সমন্বয়ককে তুলে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক  নির্যাতন করেছে পুলিশের এই বিশেষ সংস্থা। সারাদেশে রাজনৈতিক কর্মীসহ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বাসা-মেস থেকে গণহারে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, স্বৈরাচার পতনের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। হামলা-মামলা, গুম ও গ্রেফতার করে গণঅভ্যুত্থান ঠেকানো যাবে না। যত বেশি হামলা-মামলা-গুম-গ্রেফতার আসবে, ছাত্র-জনতা তত বেশি ঐক্যবদ্ধ হবে। দেশে বর্তমানে স্পষ্টতই দুটি পক্ষ একদিকে স্বৈরাচার অন্যদিকে সমগ্র জনগণ। জয় জনগণেরই হবে। আসছে ফাগুন, বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হবে।


সর্বশেষ সংবাদ