কোটা বাতিলের পরও কেন আন্দোলন, প্রশ্ন ছাত্রলীগ সভাপতির
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৭:২১ PM , আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৬ PM
সরকারি চাকরিতে কোটা বহালে হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গত বুধবার এ বিষয়ে দুই শিক্ষার্থীর দায়ের করা পৃথক আপিলের শুনানি করেন আপিল বিভাগ। শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পূর্ণ আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর ফলে আপাতত চাকরিতে কোনো কোটা নেই। এরপরও কেন আন্দোলন করছেন? আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, তারা কি চাকরিজীবী হতে চায় নাকি আন্দোলনজীবী হতে চায়? আজ শনিবার (১৩ জুলাই) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রফেশনাল আন্দোলনকারীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য আন্দোলনে নেমেছে। তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে এবং ব্লকেড ব্লকেড খেলা খেলছে। তাদের এই ব্লকেডের কারণে রোগীরা ঠিকমতো চিকিৎসা নিতে যেতে পারছে না। তারা অনর্থকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। যারা আজ স্বঘোষিত মেধাবী দাবি করছে তারা কি বিচার বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগের পার্থক্য বুঝে না?
তিনি বলেন, আদালতের মাধ্যমে কোটার একটি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হয়েছে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের কোথাও কোটা নেই। তারপরও তারা আন্দোলন করছে। বাংলাদেশ ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে একটাই প্রশ্ন, তারা কি চাকরিজীবী হতে চায় নাকি আন্দোলনজীবী হতে চায়?
“২০১৮ সালের যারা কোটা আন্দোলন করেছিল তারা একজনও বিসিএস এ উত্তীর্ণ হতে পারেনি। তারা কি বৈষম্য নিরসনের জন্য আন্দোলন করছে নাকি বৈষম্য দাবি রাখার জন্য আন্দোলন করছে এটা আমার বোধগম্য নয়। আমার মনে হয় তারা কোটার স্বর্গে নয় বরং বোকার স্বর্গ বাস করছে।”
সাদ্দাম বলেন, বাংলাদেশের নারী সমাজের উন্নয়নকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়, পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীকে যারা পিছিয়ে রাখতে চায় তাদেরকে রুখে দিতে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোটা যৌক্তিক সংস্কার চায়। আন্দোলনকারীরা চাইলেই রাজু ভাস্কর্যের সামনে আন্দোলন করতে পারে, কিন্তু তারা এটা না করে শাহবাগ অনুরোধ করে মানুষের ভোগান্তি দেয়।