কোটা সংস্কারপন্থী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৪ PM , আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ PM
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও চবি অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় বিক্ষোভ মিছিলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল ৫ টা থেকে চট্টগ্রামের ষোলশহর স্টেশনে একত্রিত হয় শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর ২ নম্বর গেইট, ওয়াসা, লালখান বাজার হয়ে আবারো ২ নম্বর গেইটের দিকে যায়।
এ সময়ে শিক্ষার্থীদের, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, 'আমার বোনের রক্ত কেন? চট্টগ্রাম, কুমিল্লায় রক্ত কেন? প্রশাসন জবাব চাই, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিব না,’ ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে,’ ‘লেগেছে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মিছিলে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল মাহমুদ জয় বলেন, গতকাল আমাদের ভাই ও বোনদের উপর যে হামলা করা হয়েছিল তার প্রতিবাদ জানাতেই আজকের এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছি। পাশাপাশি আমাদের যে যৌক্তিক দাবি সকল গ্রেডে সকল প্রকার কোটা বাতিল করে শুধু অনগ্রসরদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রেখে আইন পাশ করতে হবে। সেই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে। পুলিশের হামলা মামলা দিয়ে চবিয়ানদের দমিয়ে রাখা যাবে না।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির রহমান বলেন, একটি দেশে ৫৬ শতাংশ কোটার কোনো মানেই হয় না। আমাদের দাবি কোটার বিরুদ্ধে নয়। আমরা চাই কোটার সংস্কার করা হোক এবং ন্যূনতম ৫ শতাংশ কোটা রাখা হোক।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোটা সংস্কারপন্থী শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে মেয়ে শিক্ষার্থীসহ অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হন। এই পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা আজ বিক্ষোভ মিছিল করছেন।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্থারের এক দফা দাবিতে টানা আন্দোলন করছে দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবিটি হলো- সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।