অচলায়তন ভেঙেছে, দেরিতে হলেও প্রত্যাশিত কমিটি পেয়েছে ইবি ছাত্রলীগ

লোগো
লোগো  © ফাইল ছবি

দীর্ঘ ৮ বছরের অচলায়তন ভেঙে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ১৯৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন পর সাংগঠনিক পরিচয় পেয়া উচ্ছ্বসিত সকল নেতা-কর্মীরা।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাইফুল-অমিত কমিটির সময় সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কমিটি পায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। এরপর দুই সদস্যের দুটি কমিটি গত হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি আলোর মুখ দেখেনি। এরপর ২০২২ সালের ৩১ জুলাই আইন বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতকে সভাপতি ও অর্থনীতি বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের নাসিম আহমেদ জয়কে সাধারণ সম্পাদক করে ২৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেয় কেন্দ্র।

সাংগঠনিক পরিচয় পেয়ে উচ্ছ্বসিত সহ-সভাপতি রেদওয়ান রনি। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের অচলায়তন ভেঙে ইবি ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়েছে। প্র‍থম বর্ষ থেকে হলে থেকেছি, ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। একাধিক কমিটি গঠিত হলে পূণার্ঙ্গ কমিটি গঠিত হয়নি দীর্ঘদিন।দেড়িতে হলেও সেই ধারাবাহিকতা থেকে বের হয়ে প্রত্যাশিত কমিটি হয়েছে। শিক্ষাজীবনের শেষে এসে সাংগঠনিক পরিচয় অনেক আনন্দের। শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবে ইবি ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী এই প্রত্যাশা।

নতুন পদ পাওয়া ছাত্রলীগ নেতা শিমুল খান বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর পর ইবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটি নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে পূর্নতা পেয়েছে। ইবি শাখা ছাত্রলীগের প্রতিটা নেতাকর্মীর পরিশ্রমের যোগ্য মূল্যায়ন হয়েছে। সেই সাথে সংগঠনকে আরও বেগবান করার জন্য, আপনারা  বিভিন্ন হল, অনুষদের কমিটিগুলো হলে একটি ডাইনামিক ইউনিট এ পরিণত করবেন এই প্রত্যাশা করছি।

সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম রিয়ন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাংলাদেশের  ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে। লক্ষাধিক নেতা কর্মীর ভালবাসার ঠিকানা এই সংগঠনটি,  ভালবাসার এই সংগঠনকে আরও বেগবান করতে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে,  সে দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রতিটি নেতাকর্মী উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত। 

দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, ২০১৬ সালের পর সুদীর্ঘ ৮ বছরের অচলায়তন ভেঙে ১৯৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে৷ যারা দীর্ঘদিন যাবত  বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ও মিশন ' স্মার্ট বাংলাদেশ' এর স্বপ্ন সারথী হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন অবশেষে তাদের আক্ষেপ ঘুচলো৷ আমি প্রত্যাশা করি স্বল্পতম সময়ের মধ্যে হল ও অনুষদ শাখার কমিটি দিয়ে নতুন নেতৃত্ব তৈরির মাধ্যমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের বিজয়ের পতাকা উড়াবে৷

সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর পরে অচলায়তন ভেঙে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছে। নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস ঘটেছে সেই উচ্ছ্বাসে আমরাই উচ্ছ্বসিত। নির্দিষ্ট সংখ্যক পদ থাকায় অনেকে প্রত্যাশিত পদ পাননি ও পদবঞ্চিত হয়েছেন। তাদেরকে হল ও ফ্যাকাল্টি সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা মূল্যায়ন করে পদায়ন করব।

আরও পড়ুন: ৮ বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল ইবি ছাত্রলীগ

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‌দীর্ঘদিনের অচলায়তন ভেঙে ইবি ছাত্রলীগ পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়েছে, এর চেয়ে বড় আনন্দের কিছু হয় না। আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে কৃতজ্ঞ। এর মধ্যদিয়ে নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরা পরিচয় পেলেন। এই কমিটির মধ্যদিয়ে ইবি ছাত্রলীগ আরও শক্তিশালী হয়েছে। আগামী দিনে কার্যক্রমে আরও গতিশীল হবে এই প্রত্যাশা।

 

সর্বশেষ সংবাদ