অর্থাভাবে পড়ালেখা অনিশ্চিত গোল্ডেন পাওয়া দুই ভাইয়ের

মায়ের সঙ্গে গোলাম রাব্বানী রাজন ও গোলাম সাকলায়েন সাজন।
মায়ের সঙ্গে গোলাম রাব্বানী রাজন ও গোলাম সাকলায়েন সাজন।  © সংগৃহীত ছবি

অদম্য ইচ্ছা নিয়ে জমজ দুই ভাই গোলাম রাব্বানী রাজন ও গোলাম সাকলায়েন সাজন পড়াশোনা চালিয়েছে। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পেয়েছেন গোল্ডেন এ প্লাস। এবার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায়ও তারা আবার চমক দেখিয়েছে। সব বাধা পেরিয়ে দুই ভাই বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছেন।

সাফল্যের চ্যালেঞ্জ এখন সামনের দিকে। ফলাফলের ভিত্তিতে ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারলেও লেখাপড়ার খরচ বহন নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। তারা মনিগ্রাম নতুনপাড়া গ্রামের বাবা আবদুস সামাদ, মা রুনা লাইলার সন্তান। তাদের বাবা দুইবার স্ট্রোক করে অসুস্থ হওয়ায় পর থেকে পরিবারে নেমে আসে চরম অর্থিক সংকট। 

আরও পড়ুন: লকডাউন হলে ভেরিফিকেশন কার্যক্রম পেছাবে

জমজ দুই ভাইয়ের মামা হুমায়ন কবীর জানান, ‌দীর্ঘদিন থেকে ভগ্নিপতি অসুস্থ, তাই কোন কাজও করতে পারেন না। আগে ফার্নিচারের দোকানে কাজ করে সংসারে কিছুটা খরচ জোগাতেন। এমন অর্থিক সংকটের মধ্যে তারা টিউশনি করিয়ে নিজেদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছে। কলেজে আরও খরচ বেশি তাই সেটি এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাদের মা রুনা লাইলা বলেন, আমার দুই ছেলে ফার্নিচারের দোকানে কাজ করেও নিজেদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছে। অনেকদিন সকালে ঘরে কোন খাবার ছিল না। তারা না খেয়েই স্কুলে গেছে। এমন অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে তারা পড়াশোনা থেকে সরে আসেনি।

আরও পড়ুন: অধ্যাপক ছাড়াই চলছে ছয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

রাজন ও সাজন তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বলেন, লেখাপড়া করেই ভালো কিছু করতে চাই। আমাদের স্বপ্ন বিসিএস ক্যাডারে ইনকাম ট্যাক্স অফিসার হওয়ার। এজন্য এইচএসসিতে ভালো ফলাফল অর্জন করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু মনোয়ার হোসেন জানান, তারা আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে গোল্ডেন ‘এ’ প্লাস পেয়েছে। প্রতিষ্ঠান থেকে যতটা সম্ভব আমরা সহযোগিতা করেছি। তবে, সমাজের সহৃদয় ব্যক্তিরা এগিয়ে এলে তাদের স্বপ্ন পূরণ আরও সহজ হবে।


সর্বশেষ সংবাদ