ঘরজুড়ে বই-খাতা আর সাফল্যের ক্রেস্টে ছেয়ে আছে তিন্নির স্মৃতি

তিন্নি
তিন্নি  © টিডিসি ফটো

উলফাত আরা তিন্নি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের মেধাবী ছাত্রী। দেশ সেবার ব্রত নিয়ে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু তিন্নির ওপর পাশবিক নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনায় সব স্বপ্ন থমকে গেছে।

তিন্নি অমায়িক, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাপূর্ণ মানুষ ছিলেন। এছাড়া তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। এমনটিই বলেছেন তার সহপাঠী ও স্বজনরা। তাই তো তিন্নি মৃত্যুর ঘটনায় বিচার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইবি ক্যাম্পাস। করেছে মানববন্ধনও।

ঘটনার পর শনিবার তিন্নির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তিন্নির বই-খাতা আর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া নানা ক্রেস্ট-পুরস্কার। সাদামাটা তিন্নির জীবন-যাপন ছিল সহজ সরল। একটি অনুষ্ঠান থেকে বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) রাতে বাড়ি ফিরেই বর্বোরচিত হামলা আর পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিন্নি। তিন্নির সহপাঠী এবং পরিবার যেটিকে হত্যা হিসেবেই দেখছেন।

এদিকে তিন্নির উপর হামলার সময় হামলাকারীদের পায়ের ছাপ দেখা গেছে বাড়ির দরজায়। তারা দরজার পাশ দিয়ে দ্বিতলায় উঠে ঘরে প্রবেশ করে। জানালার গ্লাস ভেঙেও ভেতরে প্রবেশ করে কেউ কেউ। নিহত তিন্নির পরিবার ও স্বজনরা আসামিদের হুমকির মুখে রয়েছেন বলে জানিয়েছে পরিবার। তবে ঘটনার পর থেকে তিন্নির বাড়ি আর আশপাশের এলাকায় জালের মতো ছেয়ে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

তিন্নি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে গত শুক্রবার বিকেলে মানববন্ধন করেন তার সহপাঠীরা। এছাড়া গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একইসাথে বিচার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তিন্নির শয়ন কক্ষ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে শৈলকূপা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহত তিন্নীর মা হালিমা বেগমের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে আট জন আসামীর মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী জামিরুলসহ চার জন্য পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।


সর্বশেষ সংবাদ