কাতার বিশ্বকাপের নিরাপত্তায় পাকিস্তান

কাতার বিশ্বকাপ
কাতার বিশ্বকাপ  © সংগৃহীত

২০ নভেম্বর কাতারে শুরু হচ্ছে ফুটবলের সবচেয়ে বড়ো আসর। বিশ্বকাপ চলাকালে নিরাপত্তা সহায়তার জন্য ইসলামাবাদের সঙ্গে চুক্তি করবে দোহা। পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সেই চুক্তি করার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা। চুক্তির আওতায় কাতারে সেনা পাঠাবে পাকিস্তান।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মারিয়াম আওরঙ্গজেব গতকাল সোমবার এ কথা জানান। 

মঙ্গলবার পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ প্রথমবারের মতো কাতার সফরে যাচ্ছেন। কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থামি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শেহবাজকে, দুদিনের সফরে তার সঙ্গে থাকছে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। দোহা ও ইসলামাবাদের মধ্যে খসড়া চুক্তিটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এদিনই কাতার সফরে যাবেন। তবে কখন দুই দেশের মধ্যে চুক্তিটি সই হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়।

এক বৈঠকে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয় আগামী ২১ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ সাল পর্যন্ত কাতারে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপের নিরাপত্তার দায়িত্ব পেয়েছে তারা। আর এতেই দুই পক্ষই সমঝোতায় এসেছে, খুব শীঘ্রই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

আরও পড়ুন: পেনাল্টি মিসে সবার চেয়ে এগিয়ে মেসি, পরেই রোনালদো

সভা শেষে জানানো হয়, দুই দেশ সমঝোতায় পৌঁছেছে। চুক্তিতে সব ধরনের সমর্থন এবং সেনা সংখ্যা জানা যাবে। তবে কেন নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তানের সেনাদের নির্বাচন করা হয়েছে এবং তারা কাতারে কী কাজ করবেন সে বিষয়ে কাতার সরকারের গণমাধ্যম বিভাগ এখনও জানায়নি। বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটিও তাৎক্ষণিকভাবে এই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

এর আগে কাতার বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল আল রিহলা পাকিস্তানে প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছিল। বল তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাকিস্তানের শিয়ালকোট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এসসিসিআই) সহ-সভাপতি শেখ জোহাইব রফিক শেঠি। তিনি জানিয়েছেন, শিয়ালকোটে বানানো আল রিহলা ফুটবল দিয়েই কাতার বিশ্বকাপে খেলা হবে। এই বলের কারণে পাকিস্তানের এই শহরের মর্যাদা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে বলেও মনে করেন তিনি।

এশিয়া মহাদেশে প্রথম বিশ্বকাপ হয়েছিলো ২০০২ সালে, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায়। দ্বিতীয়টি  কাতারে, চলতি ২০২২ সালে। 


সর্বশেষ সংবাদ