নেপালকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইট নিশ্চিত বাংলাদেশের

  © সংগৃহীত

মাত্র ১০৬ রান। টাইগারদের অল্প পুঁজি। নেপালের সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল মাত্র ১০৭ রান। কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের তোপে দাঁড়াতেই পারল না নেপালের ব্যাটাররা। মাত্র ৮৫ রানে অলআউট। বাংলাদেশের জয় ২১ রানে। এর ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটের টিকিট নিশ্চিত করলেন শান্তরা।

টস হেরে ব্যাটে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই আউট ওপেনার তানজিদ তামিম। দলের ৭ রানে সাজঘরে নাজমুল শান্ত। এভাবে ২১ থেকে ৩০ রানে যেতে তৃতীয় ও চতুর্থ এবং পঞ্চাশ ছাড়াতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। 

ঈদের খুশি মাটি হলো বলে! এই শঙ্কা আরও প্রকট হয় লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা থিতু হতে না পারায়। ভরসা দেওয়া মাহমুদউল্লাহ (১৩) রান আউট হন। সাকিব ধুঁকে ধুঁকেও ২২ বলে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৩ বল থাকতে ১০৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেন ১৩ ও তাসকিন ১২ রান যোগ করেন। তাদের আগে আত্মঘাতী শট খেলে লিটন দাস (১০) ও তাওহীদ হৃদয় (৯) আউট হন। 

জবাব দিতে নামা নেপালের দশা আরও খারাপ বানিয়ে ছাড়েন তানজিম সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমান। মিডিয়াম পেস আর খানিকটা সুইংয়ের সঙ্গে আগ্রাসী মনোভাবে বল ছোড়া তানজিম নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানেন। পরের দুই ওভারে নেন দুই উইকেট। 

মাত্র ৭ রান দিয়ে ডানহাতি তানজিম তুলে নেন ৪ উইকেট। টি-২০ বিশ্বকাপে দেশের হয়ে সবচেয়ে কম রান দিয়ে ৪ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন। মধ্যে এক উইকেট নেন মুস্তাফিজ। নেপাল ২৬ রানে হারায় ৫ উইকেট। সেখান থেকে ৮৫ রান পর্যন্ত যেতে পারে তারা। 

শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য ২৯ রান দরকার ছিল নেপালের। হাতে ছিল ৪ উইকেট। আক্রমণে আসা তাসকিনের প্রথম বলে ছক্কা তুলে ভয় ধরালেও ৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে ওভার শেষ করেন তিনি। পরের ওভারে মুস্তাফিজ কোন রান না দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন। ৪ ওভারে ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। শেষ ওভারে বল হাতে নিয়ে ৩ বলের মধ্যে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন সাকিব।

 


সর্বশেষ সংবাদ