হায়দরাবাদকে কাঁদিয়ে হেসে-খেলে তৃতীয় শিরোপা জিতলো কলকাতা

হায়দরাবাদকে কাঁদিয়ে হেসে-খেলে শিরোপা জিতলো কলকাতা
হায়দরাবাদকে কাঁদিয়ে হেসে-খেলে শিরোপা জিতলো কলকাতা  © সংগৃহীত

কলকাতার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৮.৩ ওভারে মাত্র ১১৩ রানে অলআউট হয় হায়দারাবাদ। ফাইনালে এসেই যেন ভেঙে পড়ল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। হায়দরাবাদকে কাঁদিয়ে হেসে-খেলে তৃতীয়বারের মতো আইপিএলের শিরোপা ঘরে তুললো কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১২ ও ২০১৪ সালের পর আবার আইপিএলের শিরোপা নিশ্চিত করে চ্যাম্পিয়ন হলো শাহরুখ খানের দল। 

চেন্নাইয়ের চিপাক স্টেডিয়ামে রোববার (২৬ মে) আইপিএলের ফাইনাল ম্যাচে ১১৩ রানে অলআউট হয়েছে প্যাট কামিন্সের দল।

ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে অভিষেক শর্মাকে ফেরান মিচেল স্টার্ক। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ট্রাভিস হেডকে রানের খাতাই খুলতে দেননি বৈভব অরোরা। রাহুল ত্রিপাতি ম্যাচ ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ১৩ বল খেললেও ৯ রান করে স্টার্কের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।

এরপর ধৈর্য ধরে হায়দরাবাদকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এইডেন মার্করাম ও নিতিশ কুমার রেডি। ১০ বলে ১৩ রান নিতেই নিতিশের উইকেট নেন হার্ষিত রানা। ফলে ভেঙে যায় কষ্টার্জিত ২৬ রানের ছোট জু্টি।

বল হাতে আন্দ্রে রাসেল ২.৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। মিচেল স্টার্ক ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ২টি ও হরশিত রানা ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ২৪ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া বৈভব অরোরা ৩ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ১টি, সুনীল নারিন ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ১টি ও বরুণ চক্রবর্তী ২ ওভারে ৯ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন।

কলকাতার বোলিং তোপের মুখে হায়দরাবাদের মাত্র চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের কোটায় রান করতে পারেন। তার মধ্যে অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ১৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন সর্বোচ্চ ২৪ রান। এইডেন মার্করাম ২৩ বলে ৩ চারে করেন ২০ রান। এছাড়া হেনরিক ক্লাসেন ১ চারে ১৬ ও নিতিশ কুমার রেড্ডি ১ চার ও ১ ছক্কায় করেন ১৩ রান।

ফাইনালে হায়দরাবাদের দেওয়া ১১৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী কলকাতাকে খেলতে হলো মোটে ১০.৩ ওভার। ভেঙ্কেটশ আইয়ারের আগ্রাসী ফিফটি আর রহমানউল্লাহ গুরবাজের সময়োপযোগী ইনিংসে সহজেই লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে যায় চন্দ্রকান্ত পন্ডিতের শিষ্যরা। গুরবাজ দলীয় ১০২ রানে আউট হলেও দলকে ঠিকই জয়ের কাছে রেখে এসেছেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ভেঙ্কেটশের সঙ্গে তার ৯১ রানের জুটি নিশ্চিত করেছে কলকাতার জয়। 


সর্বশেষ সংবাদ