বিসিবির সভাপতি হতে পারবেন না সাকিব-মাশরাফি!
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪২ AM , আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৭ PM
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন নাজমুল হাসান পাপন। তবে এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে জয়ী হয়েই মন্ত্রিত্ব পেতে যাচ্ছেন পাপন। আজ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার শপথ নেওয়ার জন্য ফোন পেয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন।
পাপনের নাম ঘোষণা হওয়ার পরপরই আলোড়ন তৈরি হয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। পূর্ণ মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে আলোচনায় পাপন বিসিবি সভাপতি পদে থাকছেন তো? ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রীড়া আইনে মন্ত্রিত্ব পেলে কোনো ফেডারেশনের সভাপতিত্ব করা যাবে না- এমন কোনো নিয়ম নেই।
তবে নিয়ম না থাকার পরও কি মন্ত্রিত্ব পেতে যাওয়া পাপন বিসিবির দায়িত্বে বহাল থাকবেন? এই প্রশ্নে অনেকেই হয়তো সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা কিংবা সাকিব আল হাসানের কথা ভাবছেন। বিশেষ করে মাশরাফির নামটাই ভেসে আসছে সবার আগে। জাতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে লম্বা সময় ধরে যুক্ত ছিলেন তিনি। অনেকের মতেই দেশের ক্রিকেটের অভিভাবকের পদে সাবেক এই পেসারই যোগ্য ব্যক্তিত্ব।
কিন্তু এই মুহূর্তে তাদের বিসিবির সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কেউ সভাপতি প্রার্থী হতে চাইলে প্রথমেই তাকে জেলাভিত্তিক ক্লাব কিংবা আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হয়, এরপর হতে হয় বিসিবি পরিচালক।
সাকিব আল হাসান বা মাশরাফি বিন মর্তুজার বিসিবিতে দুজনের কারোরই পরিচালকের পদ নেই। ফলে সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থীও হতে পারছেন না তারা। এই মুহূর্তে পাপন দায়িত্ব ছাড়লে মাশরাফি ও সাকিবের সুযোগ না থাকায় বিসিবির বর্তমান পরিচালকদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি নির্বাচিত হতে পারেন।
মন্ত্রিত্ব পেলেও বিসিবির দায়িত্বে থাকতে বাধা নেই নাজমুল হাসান পাপনের। এর আগে ১৯৯৬ সালের ৪ জুলাই থেকে ২০০১ সালের ১৮ আগস্ট পর্যন্ত বিসিবি সভাপতি ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। সে সময় সংসদ সদস্য থাকা সাবের সাড়ে তিন বছর নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিসিবি সভাপতি পদে মেয়াদ রয়েছে নাজমুল হাসান পাপনের। ক্রিকেট বোর্ডে তিনি চার বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বিসিবিতে থাকছেন না পাপন
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হয়ে আবারও জেতেন নাজমুল হাসান। বেসরকারি ফলে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থী মো. রুবেল হোসেনকে ১ লাখ ২২ হাজার ১০৭ ভোটে হারিয়েছেন তিনি।