রুবেলের সঙ্গে টেস্ট থেকে অবসরে আরও এক পেসার

শফিউল ও রুবেল
শফিউল ও রুবেল  © সংগৃহীত

দুজনই সমসাময়িক, বয়স ৩২। ২০১১ বিশ্বকাপে একসঙ্গেই খেলেছেন বাংলাদেশ দলে। রুবেল হোসেনের অভিষেক ২০০৯ সালে। পরের বছরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছেন শফিউল ইসলাম। এবার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্তও একসঙ্গে নিয়েছেন এই দুই পেসার।

অবসরের বিষয়ে শফিউলের নিজের বক্তব্য না পাওয়া গেলেও রুবেল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ফার্স্টক্লাস থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সব ধরনের লাল বলের ক্রিকেট আর খেলতে চান না তিনি।

রুবেল বলেন, আন্তর্জাতিক বলতে টেস্টই খেলব না। অনেক বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি, তাই আমার শরীরের একটা বিষয় আছে। সবকিছুই আসলে বিবেচনা করছি। চিন্তা করছি টেস্ট ম্যাচ খেললে ইনজুরিতে পড়ে যাবো। ফিটনেসেরও একটা ব্যাপার আছে। এসবই বিবেচনা করছি।

আরও পড়ুন: টেস্ট স্ট্যাটাস পেল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল

রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলেছেন, ‘রুবেল আমাদেরকে মৌখিকভাবে বলেছে। আমরা লিখিত চেয়েছি। সাদা বলের খেলায় মনোযোগ দিতে চায় সে।’

এদিকে, ইনজুরির সঙ্গে লড়াই হেরে যাওয়া শফিউলও হেঁটেছেন রুবেলের পথে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছেন, ‘শফিউলও জাতীয় লিগ খেলবে না বলে দিয়েছে। আর লাল বলেও খেলবেন না।’

২০০৯ সালে কিংসটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক হয় রুবেল হোসেনের। সর্বশেষ টেস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, ২০২০ সালে। ক্যারিয়ারে ২৭টি টেস্ট খেলেছেন রুবেল বাংলাদেশের হয়ে। উইকেট নিয়েছেন ৩৬টি। পাঁচ উইকেট পেয়েছেন একবারই। ব্যাট হাতে রান করেছেন ২৬৫। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪৫।

শফিউল ইসলামের জন্ম বগুড়ায়। প্রথিতযশা বাংলাদেশী এই ক্রিকেটারের ২০০৬-০৭ মৌসুমে রাজশাহী বিভাগীয় দলের হয়ে তার ওয়ানডে অভিষেক হয়। অভিষেক মৌসুমে খেলা দুটি ম্যাচেই তিনি একটি করে উইকেট নেন তিনি। আর রুবেলের এক বছর পর অর্থাৎ ২০১০ সালে ভারতের বিপেক্ষ অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজের জন্য ১৪ জনের স্কোয়াডে ডাক পান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ