ষান্মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষা দিতে পারেনি এক মাদ্রাসার ৩০০ শিক্ষার্থী
- নেত্রকোনা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:০৬ AM , আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:০৮ AM
সারা দেশের মতো নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল ও মাদ্রাসায় নতুন কারিকুলামে একযোগে ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হয়েছে বুধবার (৩ জুলাই)। তবে প্রথম দিনের পরীক্ষা দিতে পারেনি মনকান্দা এমইউ আলিম মাদ্রাসা অ্যান্ড বিএম কলেজের দাখিল শাখার শিক্ষার্থীরা। ষষ্ট,সপ্তম,অষ্টম ও নবম শ্রেণির প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী দু’পক্ষের দ্বন্দ্বে এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষক, কর্মচারী ও এলাকাবাসী দ্বন্দ্বে জড়ায়। এরই জেরে গত ১১ জুন অধ্যক্ষ পন্থী শিক্ষকদের ওপর হামলাসহ অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ শিক্ষক-এলাকাবাসী জোট। এরপর থেকে অধ্যক্ষ পন্থী শিক্ষক-কর্মচারীরা মাদ্রাসায় যাওয়া থেকে বিরত রয়েছে। ফলে মাদ্রাসায় তালা ঝুলছে।
মাদ্রাসায় তালা লাগানোর ঘটনায় ২৩ দিন অতিবাহিত হলেও স্থানীয় প্রশাসন কিংবা স্থানীয়ভাবে এ তালা খোলার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়নি বলে জানা গেছে। এতে মাদ্রাসায় পাঠদানসহ ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এদিকে মূল্যায়ন পরীক্ষা না হওয়ায় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, দু’পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে মাদ্রাসাটি অচল হওয়ার পথে। বছরের শুরু থেকে দু’বার মাদ্রাসায় তালা লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। ঠিকমতো ক্লাসও হয়নি। এখন মূল্যায়ন পরীক্ষাও হচ্ছে না। তাদের দু’পক্ষের স্বার্থের রোষানলে পড়ে কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের জীবন নষ্ট হচ্ছে। এ দ্বন্দ্বের দ্রুত সমাধান চান তারা।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ এম এম মুহিব্বুল্লাহ বলেন, কিছু শিক্ষকের উসকানিতে তাদের সঙ্গে গ্রামের কিছু মানুষ জোট বেঁধে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। গত জানুয়ারি মাসে আমার ওপর হামলা করে তারা। এ পরিস্থিতিতে ও তাদের মারমুখী আচারণের কারণে আমি মাদ্রাসায় না গেলেও উপাধ্যক্ষের নেতৃত্বে মাদ্রাসার পাঠদানসহ সব কার্যক্রম চলছে।
আরো পড়ুন: এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা বললেন এনআই খান
তিনি আরো বলেন, বুধবার রাতে ইউএনওর নেতৃত্বে পৌর ভবনে মেয়র আসাদুল হক ভূঞা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, মাদ্রাসার দু’পক্ষের লোকজনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে এক জরুরি বৈঠক হয়। এতে বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার তালা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শনিবার থেকে রুটিন অনুযায়ী ষান্মাসিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বুধবারের পরীক্ষা সুবিধাজনক সময়ে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে ইউএনওর নেতৃত্বে পৌর ভবনে পৌর মেয়র আসাদুল হক ভূঞা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, মাদ্রাসার দু’পক্ষের লোকজনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে এক জরুরি বৈঠক হয়। এতে বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার তালা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।