দাখিল পরীক্ষা

মুচলেকায় ছাড়া পেল ভুয়া ৫৯ পরীক্ষার্থী

সাপাহারের সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসা
সাপাহারের সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসা  © সংগৃহীত

সাপাহারের সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষার সময় প্রক্সি দিতে আসা ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী আটকের পর মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় প্রকৃত পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ওইসব শিক্ষার্থীদের মাদরাসা প্রধানদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

যেসব মাদরাসার পরীক্ষার্থীদের বদলে প্রক্সি পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেগুলো হলো- সাপাহারের সিমুলডাঙা দাখিল মাদরাসা (সদ্য এমপিওভুক্ত), মানিকুড়া দাখিল মাদরাসা (সদ্য এমপিওভুক্ত), বলদিয়াঘাট দাখিল মাদরাসা (সদ্য এমপিওভুক্ত), পলাশডাঙা দাখিল মাদরাসা, দেওপাড়া দাখিল মাদরাসা, আলাদিপুর দাখিল মাদরাসা, তুলসিপাড়া দাখিল মাদরাসা, আন্ধারদীঘি দাখিল মাদরাসা।

কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার সরফতুল্লাহ মাদরাসা কেন্দ্রে আরবি সাহিত্য দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা চলছিল। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেন্দ্র সচিব আটটি মাদরাসার ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান করেন। সংবাদ পেয়ে সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ওইসব পরীক্ষার্থীর কাগজপত্র পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন তারা ভুয়া।

উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রে ৪০টি মাদরাসার পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এই কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৯৮ জন। এর মধ্যে সিমুলডাঙা দাখিল মাদরাসা থেকে ১১ জন, পলাশডাঙা দাখিল মাদরাসা থেকে আট জন, দেওপাড়া সিংপাড়া দাখিল মাদরাসা থেকে তিন জন, আলাদিপুর দাখিল মাদরাসা থেকে একজন, তুলসিপাড়া দাখিল মাদরাসা থেকে ১৪ জন, বলদিয়াঘাট দাখিল মাদরাসা থেকে দু’জন, আন্ধারদীঘি দাখিল মাদরাসা থেকে ১৭ জন, মানিকুড়া দাখিল মাদরাসা থেকে তিন জন ভুয়া পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে এসে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাদের ছেড়ে দিলেও প্রকৃত পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘আমি গোপন সূত্রে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করি। এরপর ইউএনও স্যার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্যার এসে কক্ষ পরিদর্শকদের সহায়তায় এই ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে শনাক্ত করেন। এরপর তাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেইসঙ্গে প্রকৃত পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া আটটি মাদরাসার প্রধানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। মামলা দায়েরের বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ হোসেন বলেন, ‘যাচাইয়ের পর ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী পাওয়ায় তাদের কক্ষ পরিদর্শক বহিষ্কার করেছেন। এছাড়া ওই আটটি প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে কেন্দ্র সচিবকে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’


সর্বশেষ সংবাদ