আইইএলটিএস ছাড়াই স্নাতক করা যাবে যেসব দেশে

আইইএলটিএস ছাড়াই স্নাতক করা যাবে যেসব দেশে
আইইএলটিএস ছাড়াই স্নাতক করা যাবে যেসব দেশে  © সংগৃহীত

বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ দেশের সিংহভাগ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। স্বপ্ন হবে না কেন? দেশ থেকে বিদেশে উচ্চশিক্ষা কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনের সহজ পথ। অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও তাদের এইচএসসির পর বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য বাহিরের দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আবেদন করে থাকেন। 

এইচএসসির পর বিদেশে পড়তে গেলে অনেক বিষয় সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাবতে শেখা এবং স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে শেখার ফলে শিক্ষার্থীরা অন্যদের তুলনায় অধিক দক্ষভাবে চিন্তা ও কাজ করতে শেখে। আসলে উচ্চমাধ্যমিকের পরেই বাইরে পড়াশোনার করতে যাবার মোক্ষম সময়।

যারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া দুইটিই শুরু করেছেন কিন্তু ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণে আইইএলটিএস নিয়ে হয়তো পিছিয়ে পড়ছেন অনেকে। তবে তাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে।

* যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটি: উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা বিভিন্ন খাতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যুক্তরাজ্যে। প্রত্যেক বছর প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পড়তে আসে দেশটিতে।  আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে স্কলারশিপের ব্যবস্থা। থিংক বিগ হচ্ছে তেমনি একটি স্কলারশিপ।  আবেদনের শেষ সময় স্নাতকে ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি ২০২৪।

সুযোগ-সুবিধাসমূহ:
* স্নাতকে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা) প্রদান করা হবে। 
* স্নাতকোত্তরে সর্বোচ্চ ২৬ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় সাড়ে ৩৬ লক্ষ টাকা) প্রদান করা হবে। 
* জীবনযাত্রার খরচ ( ৩ হাজার পাউন্ড) প্রদান করবে। 
* আবেদন ফি লাগবে না।

স্নাতক নিয়ে পড়ুন নিউজিল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ে

আবেদনের যোগ্যতা:
* যুক্তরাজ্যের বাইরের নাগরিক হতে হবে।
* ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন, ডেন্টিস্ট্রি এবং ভেটেরিনারি সায়েন্স বাদে যে কোনো বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন।
* স্নাতকের জন্য উচ্চমাধ্যমিক পাশ হতে হবে। 
* স্নাতকোত্তরে জন্য স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। 
* একাডেমিক ফলাফল ভালো হতে হবে। 
* ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে।

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

* ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া: পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে সেন্ট্রাল ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া।দেশটির অধিবাসীদের জীবনযাত্রার মান এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার মানের দিক থেকেও অনেক উন্নত। অস্ট্রিয়ার শিক্ষাব্যবস্থাও খুবই মানসম্পন্ন। অস্ট্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সর্বদা বিশ্ব র‍্যাংকিং শীর্ষ সারিতে থাকে। বর্তমানে অস্ট্রিয়ায় পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক আইইএলটিএস ছাড়াই অস্ট্রিয়ার যে আট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। 

১। ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় (Vienna University):-
এখানে ইংরেজি, ব্যবসা, অর্থনীতি, পরিসংখ্যান নিয়ে পড়তে গেলে ইংরেজিতে দক্ষতার সার্টিফিকেট দরকার হয়। তবে এখানে ভর্তির সময় আইইএলটিএস দরকার হয় না। 

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

২। সালজবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় (University of Salzburg):-
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে  ইংরেজি বা জার্মান ভাষায় দক্ষতা থাকতে হয়। আইইএলটিএস থাকতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।  শিক্ষার্থী ইংরেজিতে খুব দক্ষ, এমন একটি রিকমেন্ডেশন লেটার থাকলেই হয়।

স্নাতকোত্তর-পিএইচডি করুন হাঙ্গেরিতে

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন  

৩। ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস টেকনিকুম উইন (University of Applied Sciences Technikum Wien):-
এখানে পড়তে ইংরেজি অথবা জার্মান ভাষায় দক্ষতা লাগে। তবে যদি আপনি আগের প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে থাকেন, তাহলে কোনো ভাষাগত দক্ষতার সনদ দরকার হবে না। 

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

৪। জোহানেস কেপলার বিশ্ববিদ্যালয় (Johannes Kepler University):-
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু বিষয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস লাগে, সব বিষয়ের ক্ষেত্রে লাগে না। 

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

৫। মডুল বিশ্ববিদ্যালয় (Modul University):-
এটি অস্ট্রিয়ার অন্যতম প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে বাংলাদেশিরা এইচএসসির পরই ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে শুরুতে এক সেমিস্টারের একটি ফাউন্ডেশন কোর্স করতে হবে। তাহলে আর আইইএলটিএস লাগবে না, কোর্সের শেষে থাকবে পরীক্ষা। মূল ডিগ্রি কোর্সে ভর্তির সময় আইইএলটিএস ৫.৫ স্কোর লাগবে। 

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

2cbbd03a-dc89-4897-9c1c-39551a096dbe

৬। ইনসব্রুক বিশ্ববিদ্যালয় (University of Innsbruck):- 

পূর্বের পড়াশোনা বাংলা মাধ্যমে হলেও ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট থাকতে হবে অথবা পড়াশোনার মাধ্যম ইংরেজি হতে হবে, তাহলে আইইএলটিএস লাগবে না। তবে যদি আইইএলটিএস স্কোর ৫.৫ থাকে, তাহলে ভালো। 

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

৭। ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস (Vienna University of Economics and Business):- 

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এখানে ব্যাচেলরে ভর্তি হতে হলে আইইএলটিএস লাগবে, তবে যদি অস্ট্রিয়ার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শিক্ষা সেন্টারের সার্টিফিকেট থাকে, যেখানে শিক্ষার্থীর B2 লেভেলের যোগ্যতা উল্লেখ থাকে, তাহলে আইইএলটিএস লাগবে না। আর মাস্টার্সে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর ব্যাচেলর ডিগ্রি ইংরেজিতে করা হয়েছে, এমন প্রমাণ দিতে পারলে আর আইইএলটিএস লাগবে না। 

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

৮। গ্রাজ কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় (Technical University Graz):-
এখানে পড়তে ইংরেজিতে দক্ষতার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। শিক্ষার্থী যদি পূর্ববর্তী পড়াশোনা ইংরেজি মাধ্যমে করার প্রমাণ দেখাতে পারেন, তাহলে আইইএলটিএস লাগবে না।
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

* আইইএলটিএস ছাড়াই পড়ুন ডেনমার্কে: বিশ্বের অন্যতম সুখী দেশ ডেনমার্ক। গবেষণা কেন্দ্রিক পড়াশোনা এবং তুলনামূলক কম টিউশন ফি এর জন্য বর্তমানে শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষাগ্রহণের আকর্ষণীয় দেশ হচ্ছে এটি। ২০২৪ সালে আইইএলটিএস ছাড়াই স্কলারশিপ নিয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে ডেনমার্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক  আইইএলটিএস ছাড়াই ডেনমার্কের সেরা কয়েকটি স্কলারশিপ সম্পর্কে।

১. ডেনিশ সরকারি বৃত্তি
ডেনিশ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ সম্পূর্ণ বা আংশিক টিউশন ফি মওকুফ অথবা মৌলিক জীবনযাত্রার খরচ বহন করে। শুধু একাডেমিক কৃতিত্বের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি দেওয়া হয়, যার মধ্যে রয়েছে ডেনমার্ক সরকারি বৃত্তি, সাংস্কৃতিক চুক্তির অধীনে ডেনিশ সরকারি বৃত্তি, ডেনমার্কের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ডেনিশ সরকারি বৃত্তি।

২. ডেনিস ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ প্রোগ্রাম
ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ হলো ইইউ বা ইইএ এবং নন-ইইউ বা ইইএ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম।

uk2

৩. ব্যান্টিং ইন্টারন্যাশনাল পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপ
ব্যান্টিং পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপ তাঁদের জন্য, যাঁরা গবেষণানির্ভর কর্মজীবনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং গবেষণাভিত্তিক ক্যারিয়ার গড়তে চান। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পোস্টডক্টরালের জন্য এ ফেলোশিপ দেওয়া হয়। এই ফেলোশিপ ডেনিশ এবং আন্তর্জাতিক—উভয় শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।

৪. আরহাস ইউনিভার্সিটি পিএইচডি ফেলোশিপ ইন ডেনমার্ক
বিশ্ববিদ্যালয়টি ৩০টি সম্পূর্ণ অর্থায়িত পিএইচডি এবং ফেলোশিপ দেয়। আরহাস ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদে গবেষণা এবং ফেলোশিপের জন্য বেশ কিছু প্রণোদনা বরাদ্দ থাকে। এ বরাদ্ধ দেওয়া হয় পিএইচডি শিক্ষার্থীদের।

৫. রোসকিল্ড ইউনিভার্সিটিতে ডেনিশ স্টেট টিউশন ফি ওয়েভার্স অ্যান্ড স্কলারশিপ
এ বৃত্তি স্নাতক শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইএ–এর বাইরের দেশগুলোর নাগরিক এ বৃত্তির জন্য সুযোগ পান। এ বৃত্তির আওতায় ডেনমার্কে আবাসন ফি, টিউশন ফি মওকুফ এবং প্রতি মাসে ৭ হাজার ৮০০ ডেনমার্কের মুদ্রা ক্রোন দেওয়া হবে।

আরো বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন 


সর্বশেষ সংবাদ