উচ্চশিক্ষায় কেন বেছে নেবেন নেদারল্যান্ডসকে

  © সংগৃহীত

ইউরোপের উত্তর–পশ্চিম অঞ্চলের সেঞ্জেনভুক্ত একটি দেশ হলো নেদারল্যান্ডস। যা হল্যান্ড নামেও পরিচিত। জাতীয় ভাষা ডাচ হলেও এখানে ইংরেজি, ফ্রিশিয়ান ও পাপিয়ামেন্টু ভাষাও প্রচলিত রয়েছে। ডাচ শিক্ষাব্যবস্থা খুবই উন্নত ও গবেষণাকেন্দ্রিক। নেদারল্যান্ডসের আবহাওয়া, পরিবেশ, শিক্ষাব্যবস্থা, খরচ সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে দেশটি বেশ জনপ্রিয়। দেশটির বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলো বিশ্ব র্যাংঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্নাতক, স্নাতকোত্তর  পিএইচডি ও বিভিন্ন শর্ট কোর্স অফার করে থাকে।  

এছাড়া জার্মানি ও বেলজিয়ামের নিকটতম প্রতিবেশী দেশ নেদারল্যান্ডস। নেদারল্যান্ডসে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিবেশী দেশগুলোতেও কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন। 

নেদারল্যান্ডসের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো:— 

• আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ 

• ইরাসমাস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ 

• ইউনিভার্সিটি কলেজ ফ্রাইসলান 

• লেইডেন ইউনিভার্সিটি কলেজ দ্য হেগ 

• ইউনিভার্সিটি কলেজ গ্রোনিংজেন 

• ইউনিভার্সিটি কলেজ মাস্ট্রিক্ট

আরও পড়ুন: কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে মাস্টার্স-পিএইচডির সুযোগ, সঙ্গে থাকছে ২৭ লাখ টাকা

গবেষণা প্রোগ্রামের জন্য শীর্ষ কলেজগুলো হলো:— 

• ডেলফ্ট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি 

• আইন্দহোভেন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি 

• ইরাসমাস ইউনিভার্সিটি রটারডাম 

• লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয় 

• মাস্ট্রিচ বিশ্ববিদ্যালয় 

• নায়েনরোড বিজনেস ইউনিভার্সিটি 

• ওপেন ইউনির্ভাসিটি 

• রাদবাউড ইউনিভার্সিটি নিজমেগেন 

• প্রোটেস্ট্যান্ট থিওলজিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় 

• টিআইএএস স্কুল ফর বিজনেস অ্যান্ড সোসাইটি 

• টিলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়।

কেন যাবেন নেদারল্যান্ডসে পড়তে:- 

* ইংরেজির ব্যাপক প্রচলন:
দেশটির জাতীয় ভাষা ডাচ হলেও নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইংরেজি শেখানোর প্রোগ্রাম রয়েছে। এ দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৯৫ শতাংশ ইংরেজিভাষী, যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবনে যোগাযোগ করা সহজ করে তোলে। ডাচ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায় দুই হাজারের মতো প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ ইংরেজিতে শেখানো হয়। 

* ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশ:
নেদারল্যান্ডস বিশ্বের ১৮তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। ফিলিপস, হেইনকেন, কেএলএম, শেল, আইএনজি, ইউনিলিভারসহ বিশ্বের বেশ কিছু বড় বড় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান নেদারল্যান্ডসের। কৃষি, পানি ব্যবস্থাপনা, শিল্প, সরবরাহ ব্যবস্থপনা, টেকসই শক্তিসহ অনেক ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডস বিশ্বসেরা। 

* স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ:
নেদারল্যান্ডসের উচ্চশিক্ষার মান বিশ্বস্বীকৃত। টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার খরচ ইংরেজিভাষী অন্যান্য দেশের তুলনায় যথেষ্ট কম। ডাচ সরকার চাকরি খোঁজার জন্য বা স্নাতক হওয়ার তিন বছরের মধ্যে ব্যবসা শুরু করার জন্য এক বছর থাকার সুযোগ দেয়। 

* কোর্স বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা:
ডাচ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কলা, মানবিক, বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞানে স্নাতকের সুযোগ রয়েছে। আন্তবিভাগীয় পাঠ্যক্রমের মধ্যে থেকে ইচ্ছামতো কোর্স বেছে নেওয়ার সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। এর মানে অন্য দেশের তুলনায় এ দেশের বিষয় পছন্দ বেঁধে দেওয়া নয়, অনেকটাই স্বাধীন।

আরও পড়ুন: সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর-পিএইচডি করুন হাঙ্গেরিতে

* বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির মানদণ্ড:
বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোকে তাদের ভর্তির নিজস্ব মানদণ্ড নির্ধারণ করার অনুমতি দেওয়া আছে। তারা একটি ন্যূনতম জিপিএ, ডকুমেন্টস এবং সুপারিশপত্র চাইতে পারে বা একটি সাক্ষাৎকারের জন্য আবেদনকারীদের আহ্বান জানাতে পারে। ডাচ ইউনিভার্সিটি ও কলেজগুলো একটি সামগ্রিক আবেদনপদ্ধতি ব্যবহার করে। 

* টিউশন ফি ও স্কলারশিপ:
মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য টিউশন ফি বছরে ৮,০০০–২০,০০০ ইউরো। তবে দেশটিতে নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক স্কলারশিপ রয়েছে যেগুলি তারা স্নাতক পর্যায়ে ভালো ফলাফল ও GMAT স্কোরের উপর ভিত্তি করে প্রদান করে। পাশাপাশি ইরাসমাস ও নফিক স্কলারশিপের মতো ডাচ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত কিছু স্কলারশিপ রয়েছে।

* পড়ালেখা শেষে কাজের সুবিধা:
পড়ালেখা শেষে চাকরি খোঁজার জন্য এক বছরের ভিসা প্রদান করে থাকে নেদারল্যান্ডস। দেশটিতে আইটি সেক্টরে বেশ চাহিদা রয়েছে। তাই আইটি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে দক্ষ হলে ডাচ ভাষা জানার প্রয়োজন হয় না।


সর্বশেষ সংবাদ