ভারতের মাটিতে রয়েল গ্লোবাল কুইনের খেতাব জিতলেন বাংলাদেশের পালামা

বিজয়ী পালামা আহমেদ
বিজয়ী পালামা আহমেদ  © সংগৃহীত

তিনটি দেশের প্রতিযোগীদের হারিয়ে ভারতের মাটিতে রয়েল গ্লোবাল কুইনের মুকুট লাভ করছেন বাংলাদেশের পালামা আহমেদ। ভারতের মুম্বাইয়ে ক্লাব এমেরাল্ডে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার এটি ছিল দ্বিতীয় আসর। গত বছরের সাফল্যের পর এ বছর গত ১৯ থেকে ২১ মে আয়োজন করা হয় এর দ্বিতীয় আসর। এবারের প্রতিযোগিতায় ভারত, বাংলাদেশ ও দুবাইয়ের প্রতিযোগীরা অংশ নেন।

পালামা আহমেদ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানব সম্পদ বিভাগের শিক্ষার্থী  ছিলেন। ত্রিশ বর্ষীয়া এই নারী শখের মডেলিং করলেও পেশাগত জীবনে তিনি একটি পান কেন্দ্রিক সৃজনশীল ব্যবসায় উদ্যোক্তা। বেশ কিছু দিন করপোরেট খাতে চাকরির পর তিনি দুই বছর আগে পান টেম্পটেশন্স নামে একটি অভিনব উদ্যোগ শুরু করেন। তিনি এই প্রতিযোগিতায় র‍্যাম্প ওয়াক ছাড়াও ট্যালেন্ট রাউন্ড, প্রশ্নোত্তর পর্ব ও ন্যাশনাল কস্টিউম রাউন্ডে সর্বোচ্চ স্কোর পেয়ে মুকুট অর্জন করেছেন।

নিজের অনুভুতি জানিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে পালামা আহমেদ বলেন, ‘আমি নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি এবং প্রত্যেক নারীরই তার নিজস্ব পরিচয় এবং স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকার স্বাধীনতা থাকা উচিত। মিস এবং মিসেস রয়েল গ্লোবাল কুইনের ধারণাটি নারীর ক্ষমতায়নের সাথে সম্পর্কিত যা আমাকে এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে অংশগ্রহণ করতে আরও অনুপ্রাণিত করেছে।

এই অনুষ্ঠানের প্রত্যেকটি রাউন্ডে বহুমুখী প্রতিভা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হয়েছে যা ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য অত্যন্ত আবেগপূর্ণ মুহূর্ত। আমি ‘Studio Visage’ এর সুমন হোসেন  এবং ডাঃ নীলম পারাদিয়াকে এমন একটি চিন্তাশীল অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

আয়োজক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ড. নীলম পারাডিয়া জানান, বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগিদের অংশগ্রহণে এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাঁরা সব ধর্ম ও জাতির মানুষের মধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্প্রীতির বাণী ছড়িয়ে দিতে চান । তিনি এও বলেন, এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য নিছক সৌন্দর্যই-বন্দনা নয়, বরং নারীকে উদ্‌যাপন করা, নারীর শক্তিকে অভিনন্দিত জানানো। আমরা মডেল নয়, রোল মডেলের সন্ধান করছি।

এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে এ অনুষ্ঠানের পরিচালনা ও অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার হিসেবে ছিলেন ‘Studio Visage’ এর সুমন হোসেন।