টিকার বাইরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:১২ PM , আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:১২ PM
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর ৩৪ লাখ ২৫ হাজার ৫৩২ জনের মধ্যে টিকা নিয়েছেন মাত্র ৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯০০ জন। এখনো অধিভুক্ত মোট ২ হাজার ২৫৭টি কলেজে অধ্যয়নরত ২৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৩২ জন শিক্ষার্থী টিকার বাইরে রয়েছে।
গত ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত এই পরিসংখ্যান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া পরিসংখ্যানের চেয়ে বেশি শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।
জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, ‘দুই-এক দিনের মধ্যে বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরা হবে।’
জানুয়ারির মধ্যে এসব শিক্ষার্থীর টিকা সম্পন্ন করার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘টিকা কার্যক্রমে আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছি। জানুয়ারির মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছি।’
আরো পড়ুনঃ বুটেক্সের আবাসিক হলের ছাত্র করোনায় আক্রান্ত
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯০০ জন টিকা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীর মধ্যে পুরুষ শিক্ষার্থী রয়েছেন চার লাখ ২৫ হাজার ৬৬৬ জন এবং নারী শিক্ষার্থী রয়েছেন চার লাখ ১২ হাজার ৯৩৪ জন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত মোট শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ৩১ হাজার ৯৯৪ জন। এর মধ্যে একডোজ টিকা নিয়েছেন ৬ হাজার ৯১০ জন এবং দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন ১৯ হাজার ৭৭৯ জন। আর টিকার বাইরে রয়েছেন ১৬ হাজার ৯৩২ জন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক ৮৭ হাজার ৮৬৯ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১৭ হাজার ৪১৫ জন। আর দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৩ হাজার ৮৫০ জন। টিকার বাইরে রয়েছেন ২৩ হাজার ৪৬২ জন।
গত ১০ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী ৪৪ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫১। এর মধ্যে প্রথম ডোজ সম্পন্ন করেছেন ২৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৮ জন, দ্বিতীয় ডোজ ১৭ লাখ ১৩ হাজার ৩০২ জন।
তিনি জানান, টিকার জন্য মোট নিবন্ধন করেছেন ২৭ লাখ ৩১ হাজার ২৮৭ জন। এর মধ্যে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। চলতি জানুয়ারির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় নেওয়া সম্ভব হবে।