২ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ নোবিপ্রবির হল

ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল
ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল  © ফাইল ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে ২০১৯ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এখনো বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু হলের কাজ সম্পন্ন হলেও খাওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় হলটি চালু হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুই বছর সময় নিয়ে ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়।ওই সংঘর্ষে ভাঙচুরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় এর সংস্কার কাজে ৩ ধাপে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। এ বছর অক্টোবর মাসের দিকে সংস্কার শেষে হল প্রশাসনকে সেটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে এখনো শিক্ষার্থীদের হলে তোলা হয়নি। এর মধ্যে এক মাস আগে শিক্ষার্থীদের থেকে আবেদন সংগ্রহ করে ভাইবা সম্পন্ন করেছে হল প্রশাসন।ভাইবা দিয়ে হল প্রশাসনের দীর্ঘ সময়ক্ষেপণের কারণে বিপাকে পড়েছে ওই হলের জন্য আবেদন করা এক হাজার তিনশ'র বেশি শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুনঃ বছর জুড়ে মৃত্যুর মিছিল ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে

তারা বলছেন, হলের সিটের ফলাফল না দেয়াতে তারা নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না। হলের সিট পেলে তারা নতুন মেস নেয়া থেকে বিরত থাকত। আর হলে সিট না পেলে দ্রুত তাদের ভিন্ন ব্যবস্থা করতে হবে। এ অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। 

এদিকে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মো. মজনুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের হলে তোলার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তা সম্পন্ন করে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই চালু করা হবে।

এছাড়াও হল খালি থাকায় বাহিরে থাকা বিভিন্ন জিনিস হল থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রায় এক মাস আগে নোবিপ্রবির শুধু তিনটি আবাসিক হল অনুমতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আব্দুল মালেক উকিল হল, হয়রত বিবি খাদীজা হল ও ভঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল চালু করে শিক্ষার্থীদের হলে উঠতে দেয়া হয়। 

হল চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে সালাম হলের প্রভোস্ট ড. আনিসুজ্জামান রিমন ফোনকলে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরের সপ্তাহের আগে এ বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম বলেন, খুব দ্রুত শিক্ষার্থীদের হলে তোলা হবে। ভাইবার পর স্বল্প সময়ের মধ্যে ফলাফল দিয়ে হলে শিক্ষার্থীদের তোলার পরিকল্পনা ছিল। কেন দেরি হচ্ছে বিষয়টি জেনে দ্রুত চালু করার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।

 


সর্বশেষ সংবাদ