হোটেলে খেতে গিয়ে বাকবিতণ্ডা, জবির দুই ছাত্রকে বেধড়ক মারধর
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:০৪ PM , আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:২০ PM
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করেছে ক্যাম্পাস সংলগ্ন আরামবাগ হোটেলের মালিকের ছেলে ও কর্মচারীরা। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা গিয়ে হোটেল মালিকের ছেলে ও এক কর্মচারীকে মারধর করে। এ ঘটনায় ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে। পরবর্তীতে আরামবাগ হোটেল ও নগরসিটি প্লাজা মার্কেট বন্ধ করে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থী আল সাদিক ও মো. সাগর নামে দুই শিক্ষার্থী আরামবাগ হোটেলে খেতে গেলে সেখানে বসা নিয়ে দুই লোকের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর আল সাদিক হোটেলেরর বেসিনে হাত ধুতে গেলে তার ওপর ধারালো কাচি নিয়ে হামলা চালায় হোটেল মালিকের ছেলে মোনায়েম। এ সময় আল সাদিকের মুখের পাশে কেটে যায়। পরে তাকে ন্যাশনাল মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরবর্তীতে এ ঘটনা জানাজানি হলে জবি শিক্ষার্থীরা আরামবাগ হোটেলের মালিকের ছেলে মোনায়েম ও হোটেলের এক কর্মচারীকে মারধর করে। এসময় তাদের আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নগরসিটি প্লাজা ও আরামবাগের মালিক ফারুক মনোয়ার বলেন, কয়েকজন পোলাপান এসে আমার কিছু পোলাপান বসে ছিল তাদের সাথে ঝামেলা করেছে। আমার ভাগ্নিসহ কয়েকজন ইন্ধন দিয়ে এসব করিয়েছে। যাকে মারছে সে আমার বড়ো ছেলে মোনায়েম। ছোট ছেলে তোফায়েলকেও মারছে। মোনায়েমসহ কয়েকজন বসে ভাত খাচ্ছিল, সেসময় ক্যাম্পাসের পোলাপান এসে তাকে থাপ্পর দিছে। ভিডিও ফুটেজ আছে সেখানে সব আছে।
আহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আল সাদিক বলেন, আমরা হোটেলে খেতে যাওয়ার পরে ওই লোক হাটার জায়গায় পা বের করে বসে ছিলো। ওনি যেহেতু না খেয়ে বসে ছিলো, আমরা ওই ব্যক্তিকে বলি যে উঠে আমাদের বসতে দেন। পরে ওই ব্যক্তি বলে আমি মালিক, আমি উঠব কেন? তখন কথা কাটাকাটি হয়। এরপর আমরা হাত ধুতে গেলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই লোক কাচি দিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করে, যা সিসিটিভি ফুটেজেও আছে। আমার মুখে ৫টি সেলাই করেছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর এমন হামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ঘটনাটি যেহেতু বাহিরের তাই আমি পরামর্শ দিয়েছি মামলা করতে। পরবর্তীতে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
সুত্রাপুর থানার ওসি মো. মঈনুল ইসলাম বলেন, দোকানের মালিকানা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা চলছিলো। সেটাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে বলে একপক্ষ থেকে শুনেছি। আরেকপক্ষ এখনো হাসপাতালে আছে, তারা আসলে তাদের বক্তব্য শুনবো। আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ আছে, আমরাও সেটি পর্যবেক্ষণ করছি।