কুবিতে চূড়ান্ত পরীক্ষার দিনেই মিডটার্ম, বিরূপ প্রতিক্রিয়া শিক্ষার্থীদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২১, ০৭:০৬ PM , আপডেট: ১৬ জুন ২০২১, ০৭:০৬ PM
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষার দিনেই একই কোর্সের মিডটার্ম পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৬ জুন) এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপগুলোতে শেয়ার হওয়ার পর মন্তব্য ঘরে এমন প্রতিক্রিয়া জানান তারা।
জানা গেছে, ৩ জুন একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতির কারণে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো ১৩ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে নেওয়া শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
পাশাপাশি অনেকগুলো বিভাগ তাদের মিডটার্ম পরীক্ষাও সশরীরে নেওয়া শুরু করে। ফলে ক্যাম্পাসে জনসমাগম বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কমিটি।
এমতাবস্থায় জনসমাগম কমানোর লক্ষ্যে সেমিস্টার চূড়ান্ত পরীক্ষার দিনই একই কোর্সের মিডটার্ম পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এ কমিটি। যা আগামী শনিবার (১৯ জুন) থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, একইদিনে সেমিস্টার চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়ে আবার দুটি মিডটার্ম (প্রতিটি কোর্সের দুটি করে মিডটার্ম নেওয়া হয়) দেওয়া তাদের পক্ষে কষ্টকর হয়ে যাবে।
সোহেল ইবনে আলম নামে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, এটা অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। ৩ ঘণ্টার সেমিস্টার দিয়ে ওই দিন আবার মিডটার্ম কেমনে দেব। আমরা মানুষ নাকি রোবট?
জাবেদ ওমর রিফাত নামে আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তগুলো দায়সারা সিদ্ধান্ত বলেই আমি মনে করি। ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার দিকে না তাকিয়ে তারা তাদের সুবিধার দিকে তাকিয়েই সিদ্ধান্ত নেয়।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জয় দেবনাথ বলেন, এটা অবশ্যই ফালতু সিদ্ধান্ত। তিন ঘণ্টা সেমিস্টার ফাইনাল দিয়ে দুইটা মিড দেওয়ার এনার্জি থাকবে? আমাদের হাত কি মেশিন? সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা দরকার বলে মনে করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করেই উপাচার্যের নির্দেশক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষকরাও স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই পরীক্ষা নিচ্ছেন।
সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, এ বিষয়টি আমি কমিটিকে বলব। কমিটি আবার ভেবে দেখবে।