না ফেরার দেশে জবি শিক্ষার্থী সিরাজুল
- ফারহানা খানম, জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০১৯, ১১:২৫ AM , আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৯, ১১:২৫ AM
সবাইকে কাঁদিয়ে নীরবে চলে গেলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম। গতকাল শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জবি প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিরাজুল রসায়ন বিভাগের ১৪তম আবর্তনের (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলায়। মেধাবী শিক্ষার্থী সিরাজুল কেমিস্ট্রি অলিম্পিয়াড ২০১৬ আঞ্চলিক পর্যায় বিজয়ী হয়ে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেছিলো।
জানা যায়, ভাইরাস এনসেফালাইটিস নামক মস্তিষ্ক সংক্রামণজনিত রোগে তার মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তার মাঝেমাঝে জ্বর হতো। সর্বশেষ ঈদের ছুটিতে পাবনায় গ্রামের বাড়িতে গেলে ঈদের দিন বিকালে জ্বর নিয়ে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে ২দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী অথবা ঢাকায় নিতে বললে তাকে ঢাকা সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) সিটি হাসপাতালে তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
এ বিষয়ে সিরাজুলের প্রতিবেশী ও সহপাঠী মাহামুদ বলেন, ঈদের দিন বিকালে সিরাজুলকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন ডাক্তার তাকে রাজশাহী অথবা ঢাকায় নিয়ে যেতে বলে। যেহেতু জ্বর তাই ডেঙ্গু বলে সন্দেহ করা হচ্ছিলো। কিন্তু ৩ বার ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হলেও ডেঙ্গু ধরা পড়েনি।
রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক অমিনুল হক বলেন, আমি খবর পেয়ে বিকালে সিটি হাসপাতালে যায়। তখন ওকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিলো। আমি যাওয়ার কিছুসময় পর ৫.৩০-৬.০০ টার মধ্যে মারা যায়। তিনি আরও বলেন, ডাক্তারদের সাথে কথা বলে জেনেছি ভাইরাস থেকে ব্রেনে সংক্রামণ হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শুভ বলেন, সিরাজুলের রোগটা হলো ভাইরাস এনসেফালাইটিস। এটা মূলত ভাইরাস থেকে মস্তিষ্কে সংক্রামণ ঘটায়। পেশেন্টের পরিবার থেকে বলা হয় দুইদিন আগে থেকে জ্বর হচ্ছে। কিন্তু পেশেন্ট বলেছে আগেও তার জ্বর আসলেও সে গুরুত্ব দেয়নি। ১৬ তারিখ রাত আনুমানিক ৩টার দিকে আমরা তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে নিই। তার ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়েছে, রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ সামান্য কম থাকলেও সকল রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ওকে নিয়ে সন্ধ্যার দিকে পরিবারের সদস্যরা পাবনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। আমাদের একজন শিক্ষক হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। যদি আগে খবর পেতাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওর চিকিৎসা ব্যয় বহন করা হতো।