বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
প্রবেশপত্র ছাড়াই পরীক্ষায় বসছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থীরা!
- বেরোবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ মে ২০১৯, ০৭:৫১ PM , আপডেট: ০৫ মে ২০১৯, ০৭:৫১ PM
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের অনুমোদন ও প্রবেশপত্র ছাড়াই ১ম বর্ষের ১ম সেমিস্টারের পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে একটি পরীক্ষা গ্রহণ করে সাময়িকভাবে পরীক্ষা গ্রহণ স্থগিত করেছে বিভাগটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৩মার্চ ১ম বর্ষের ১ম সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করে বিভাগটি। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড প্রদান করা হলেও এখনও তাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রস্তুত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট একাডেমিক শাখা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রস্তুত হওয়ার পর বিভাগগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে একাডেমিক শাখা ফরম পূরণের জন্য বৈধ শিক্ষার্থীদের তালিকা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরে পেশ করার কথা।
কিন্তু, প্রতি সেমিস্টারের জন্য ৬ মাস করে সময় নির্ধারিত থাকলেও ক্লাস শুরু হওয়ার মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই একাডেমিক শাখায় ফরম পূরণের জন্য আবেদন করে বিভাগটি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রস্তুত না করেই ১৭ ও ১৮ মার্চ ফরম পূরণ করে জমা দিতে বলে একাডেমিক শাখা। এতে, শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ফরম পূরণের জন্য আবেদন করে। তারা আবেদন পত্রে রেজিস্ট্রেশন নম্বরের জায়গাটি ফাঁকা রাখে।
শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ছাড়াই তাদের আবেদনপত্র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরে পাঠায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। আর রেজিস্ট্রেশন নাম্বার না থাকায় আবেদনপত্রগুলো আটকে দেয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর। তবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর ফরম পূরণের আবেদন আটকে দিলেও প্রবেশপত্র ছাড়াই পুরনো খাতায় একটি পরীক্ষা গ্রহণ করে বিভাগটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, সেশনজট কমাতে শিক্ষকগণ বেশি বেশি ক্লাস নিয়ে নির্ধারিত কোর্সগুলো শেষ করে দিয়েছেন। তাই দ্রুত পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কিন্তু, শিক্ষার্থীদের ভর্তির চার মাস অতিক্রম করলেও এখনও রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রস্তুত করতে পারেনি একাডেমিক শাখা। তারপরও সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোর সাথে কথা বলে আমরা ফরমপূরণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাই। পরে একাডেমিক শাখা থেকে ফরম পূরণের জন্য চিঠি দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে আমরা পরীক্ষা শুরু করি।
খাতা ও প্রবেশপত্র ছাড়া পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভাগের আরও তিনটি ব্যাচের পরীক্ষা চলছে। সেসব ব্যাচের খাতা দিয়েই ১ম বর্ষের পরীক্ষা শুরু করা হয়। পরে এ বিষয়ে আপত্তি উঠায় পরীক্ষা গ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। জটিলতা নিরসন হলে পুনরায় পরীক্ষা শুরু হবে।
রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রস্তুত না করে ফরম পূরণের অনুমতি দেয়ার বিষয়ে একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার সাহানা পারভীন বলেন, আমরা রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ফাঁকা রেখেই ফরম পূরণ করতে বলেছিলাম। কিন্তু পরীক্ষা গ্রহণ করতে বলিনি। তিনি আরও বলেন, বিভাগগুলো শিক্ষার্থীদের আইডি তালিকা জমা না দেয়ায় রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রস্তুত করতে বিলম্ব হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোরশেদ হোসেন বলেন, যথাযথ পদ্ধতি না মেনে ফরম পূরণের জন্য আবেদন করায় আমরা সেগুলো আটকে দিয়েছি। সেই অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ ছিলনা। কিন্তু নিয়ম না মেনে প্রবেশপত্র ছাড়াই ওই বিভাগ পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করেছে। তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ছাড়া প্রবেশপত্র ও পরীক্ষার খাতা প্রদান করা হবে না।