প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ‘লং মার্চ টু কুয়েট’ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা

শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু কুয়েট’ কর্মসূচি
শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু কুয়েট’ কর্মসূচি  © টিডিসি

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৯তম (জরুরি) সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল এবং সব আবাসিক হল ভ্যাকান্ট করে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনার তদন্ত করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

পরবর্তী সময়ে ২৮ মার্চ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটিকে প্রহসমূলক কমিটি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।শিক্ষার্থীদের দাবি, তদন্ত কমিটির মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে আমাদের ন্যায়সংগত আন্দোলনকে নস্যাৎ করা। ফলে ৭ এপ্রিল  শিক্ষার্থীরা ১৩ এপ্রিল কুয়েট অভিমুখে ‘লং মার্চ টু কুয়েট’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ এবং ক্যাম্পাসে না ফিরতে বলা হয়।

আজকে ১৩ এপ্রিল বেলা দুইটা থেকে শিক্ষার্থীরা লং মার্চ টু কুয়েট কর্মসূচি সফল করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে জড়ো হতে শুরু করেছেন।

আরও পড়ুন: ভিসাপ্রত্যাশী বাংলাদেশিদের সতর্কবার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শুরু করে তদন্ত কমিটি সকলেই পর্যাপ্ত সময় পাওয়ার পরেও শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এখন পর্যন্ত কোনো হামলাকারীকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে হামলাকারীদের ব্যাপারে শক্ত কোনো প্রতিবাদ জানানোও হয়নি, বরং বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদেরকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া, তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা এবং তদন্তের নামে হয়রানি করা হয়েছে।

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের একাডেমিক লাইফ নিয়ে প্রশাসন থেকে কোনো আন্তরিকতা লক্ষ্য করা যায়নি। আমরা সবাই দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে একাডেমিক লাইফে ফিরে যেতে চাই। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির আওতায় এনে যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরে যাওয়ার জন্য আমাদের আজকের এই কর্মসূচি।’


সর্বশেষ সংবাদ