ববির ট্রেজারার নিয়োগ বাতিল চান শিক্ষকরা, কঠোর আন্দোলনের আলটিমেটাম
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ PM , আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭ PM
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ট্রেজারার কর্নেল (অব.) আবু হেনা মোস্তফা কামাল খানের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে আলটিমেটাম দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা এ দাবি জানান।
শিক্ষকরা জানান—আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ট্রেজারারের নিয়োগ বাতিল না করা হলে তাঁরা কঠোর আন্দোলনে যাবেন। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ট্রেজারারের জন্য বরাদ্দকৃত গাড়ি ও কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন ববির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজ আশরাফুল হক। বক্তব্যে তিনি জানান, গত ২৬ নভেম্বর সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবু হেনা মোস্তফা কামাল খানকে ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই নিয়োগ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, ইউজিসির বিভিন্ন তদন্ত এবং সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এই ব্যক্তি বিতর্কিত, দুর্নীতিগ্রস্ত এবং একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন: উপাচার্যের পর বিতর্কিত ট্রেজারার নিয়োগ, উত্তাল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ট্রেজারারের বিরুদ্ধে বিধি বহির্ভূতভাবে ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ’ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে, যা ইউজিসির তদন্তে প্রমাণিত। তিনি তৎকালীন উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকেরা জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে যোগ্য শিক্ষক বা প্রশাসকের পরিবর্তে সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাকে ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য।
১ ডিসেম্বর বিতর্কিত ট্রেজারারকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে ক্যাম্পাসে শিক্ষকেরা প্রতিবাদ জানান। ১২৮ জন শিক্ষক প্রতিবাদলিপিতে স্বাক্ষর করেন। এ ছাড়া ২৬ নভেম্বর রাতে নতুন ট্রেজারার ক্যাম্পাসে যোগদানে আসলেও শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে ফিরে যেতে বাধ্য হন।
শিক্ষকেরা ঘোষণা দিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা এই নিয়োগ বাতিলের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ড. খোরশেদ আলম, ড. মাহফুজ আলম, সাদেকুর রহমান, সিরাজিস সাদিক, সৈয়দ আশিক-ই-ইলাহী, জামাল উদ্দীন, আব্দুল আলিম বাসের, আবু জিহাদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকেরা।