সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধে অচল সায়েন্সল্যাব এলাকা, ভোগান্তি

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধে অচল সায়েন্সল্যাব এলাকা
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধে অচল সায়েন্সল্যাব এলাকা  © ফাইল ছবি

ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ সংষ্কার কমিশন বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠনের দাবিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সায়েন্সল্যাব অবরোধে নানা ভোগান্তিতে পড়েছেন জন সাধারণ।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব অবরোধ করলে সায়েন্সল্যাব সংলগ্ন আশেপাশের এলাকায় স্থবিরতা নেমে আসে। 

সায়েন্সল্যাবে যান চলাচল বন্ধে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। এদিকে অবরোধ থাকায় সায়েন্সল্যাবে মোড় সংলগ্ন সড়কে ভ্রাম্যমান দোকান বসিয়েছে হকাররা।

রাজধানীর গর্ভমেন্ট ল্যাবরেটরির পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র তাহমিদের বাবা ইকবাল আহমেদ বলেন, সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ছেলেকে নিয়ে অনেক কষ্টে সায়েন্সল্যাব পর্যন্ত এসেছি। কিন্তু ১১ টা যেহেতু যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে সুতরাং স্কুলে তাহমিদের সহপাঠিরা হয়ত স্কুলে আসতে পারিনি। স্কুলে শিক্ষার্থী না আসলে ক্লাস তো হবে না। সাইন্সল্যাবের এই আন্দোলনের জন্য স্কুলও তো একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেল। এ সরকারের কাছে এ ভোগান্তি থেকে নিস্তার চাই।

সায়েন্সল্যাব মোড় ওভারব্রিজ সংলগ্ন বেনমাস ফ্যাশনের মালিক গোলাম জিলানী ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, গাড়ি ঘোড়া চলছে না। কাস্টমার কিভাবে আসবে, তারা তো আসতে পারছে না।আমার দোকানে কোন বিক্রি নেই। সরকারকে বলবো ছাত্ররা যা দাবি করছেন তা পূরণ করে আমাদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করেন।

আরও পড়ুন: আজই আপনারা কমিশন করার ঘোষণা দিন

সায়েন্সল্যাবের ছায়া শরমা এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক দুলাল বলেন, অন্যদিনের তুলনায় আন্দোলনের এই কয়দিন কাস্টমার অনেক কম আসছে। আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা শান্তিতে ব্যবসা করতে চাই। 

উল্লেখ্য, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী টানা দ্বীতিয় দিনের মতো শার্টডাউন সাইন্সল্যাব কর্মসূচি পালন করছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন সাত কলেজেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠন করলে  এক মিনিটের মধ্যে সাইন্সল্যাব অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে এবং সড়ক ছেড়ে শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে ফিরে যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ