রাবির আইসিটি পরিচালকের পদত্যাগের ঘোষণা প্রত্যাহার

  © সংগৃহীত

পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জিম্মি করে পোষ্য কোটা ইস্যুতে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে ফেসবুকে নিজের আইডিতে এক পোস্টে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের খবর জানান তিনি।

পোস্টে অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘আমি মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আইসিটি সেন্টারের পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা প্রত্যাহার করলাম। মান-সম্মান, ইজ্জতের মালিক একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। মাননীয় উপাচার্য মহোদয় আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন, আমি যেন তার যথাযথ হক আদায় করতে পারি, আমিন। সবার কাছে দোয়া চাই।’

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘পোষ্য কোটা থাকা না থাকার বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। বিগত সময়ে একাধিক পোস্টে আমার অবস্থান জানিয়েছি। কিন্তু যে কায়দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দাবি মানতে বাধ্য করা হলো, প্রশাসনের একজন হিসেবে এই অপমান-অপদস্তকে আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি এর প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা করছি। [আগামী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে অফিসিয়ালি আমার পদত্যাগপত্র প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।]’

অভিযোগ তুলে তিনি আরও লিখেছিলেন, ‘গত দুই মাস যাবৎ গুটিকয়েক ছাত্র অব্যাহতভাবে রাবির শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবার নিয়ে অশালীন-অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ এবং কর্মসূচি পালন করে আসছে, তা কোনোক্রমেই মেনে নেয়ার মতো না। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে এর তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং এর ন্যায্য বিচার দাবি করছি।’

গত ১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সভায় সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীর সন্তানের জন্য ১% পোষ্য কোটা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২ জানুয়ারি এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে সকাল ১০টা থেকে প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ফলে দুই উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, জনসংযোগ প্রশাসকসহ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ভেতরে আটকা পড়েন। ১০ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর ভবনের তালা ভাঙার চেষ্টা করেন কর্মকর্তারা। ফলে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ফলে রাত ৯টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে এসে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিলের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence