কুয়েটে যোগ দিতে পারছেন না অধ্যাপক আলমগীর, নেপথ্যে তিন কারণ
- আহমেদ ইউসুফ
- প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ PM , আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ AM
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর নিজ কর্মস্থল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) যোগদানের জন্য আবেদন করেন। তবে তার যোগদানের আবেদনটি গ্রহণ করেনি কুয়েট কর্তৃপক্ষ। তিনটি কারণ দেখিয়ে ড. আলমগীরের যোগদানের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে প্রকৌশল ও প্রযুক্তির এ উচ্চশিক্ষালয়।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইউজিসির সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়ান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন। এর আগে গত ১৮ অগস্ট তিনি ইউজিসির অতিরিক্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে বিরত থাকার কথা জানান। ইউজিসি থেকে পদত্যাগের পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর নিজ কর্মস্থল কুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পুনরায় যোগদানের জন্য আবেদন করেন অধ্যাপক আলমগীর।
৯ সেপ্টেম্বর নিজ কর্মস্থল কুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পুনরায় যোগদানের জন্য আবেদন করেন অধ্যাপক আলমগীর। এর দুইদিন পর গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার মো. আনিসুর রহমান ভুঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক নোটিশে আবেদনটি গ্রহণ না হওয়ার বিষয়টি অধ্যাপক আলমগীরকে জানায় সেখানকার রেজিস্ট্রার দপ্তর।
এর দুইদিন পর গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার মো. আনিসুর রহমান ভুঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক নোটিশে আবেদনটি গ্রহণ না হওয়ার বিষয়টি অধ্যাপক আলমগীরকে জানায় সেখানকার রেজিস্ট্রার দপ্তর।
অধ্যাপক আলমগীরের পুনরায় যোগদানের আবেদন গ্রহণ না করার কারণ উল্লেখ করে কুয়েটের রেজিস্ট্রার দপ্তর জানায়, ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তথা সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কর্তৃক কোন প্রকার ফরোয়ার্ডিং না থাকা, সশরীরে উপস্থিত না হওয়া এবং বর্ণনামতে পূর্ব প্রতিষ্ঠানের (ইউজিসি) সদস্য পদ হতে পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র যোগদানপত্রে সংযুক্ত না থাকায় আপনার যোগদানপত্রটি গ্রহণ করা হলো না।’
চিঠিতে কারণ হিসেবে আবেদন যথাযথ না হওয়ায় অধ্যাপক আলমগীরের অর্জিত ছুটির আবেদনও বিবেচনা করা হবে না বলে জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন: অক্টোবরে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নিতে চায় পিএসসি
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর অধ্যাপক আলমগীরকে ছাড়পত্র দেয়ার প্রয়োজন হয় না। তার বেতন এবং অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে ইউজিসির পক্ষ থেকে তথ্য দেয়ার প্রয়োজন, আমরা সেটা দিয়েছি। কাজেই নতুন কোনও জটিলতা তৈরি হলে এটি কুয়েটের প্রশাসনিক বিষয়।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার মো. আনিসুর রহমান ভুঁইয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। অধ্যাপক আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনিও কোনও সাড়া দেননি।