ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ আন্দোলনে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী!

আন্দোলনে স্কুলের শিক্ষার্থী
আন্দোলনে স্কুলের শিক্ষার্থী  © সংগৃহীত

ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। এর ফলে একদিকে যেমন অভিভাবক শূন্যতা বিরাজমান, অপরদিকে কে হতে যাচ্ছেন আগামীর অভিভাবক এমন আলোচনাও চলছে সর্বমহলে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানা জল্পনা কল্পনা ঘিরে ক্যাম্পাসে তৈরি হয়েছে সরগরম পরিবেশ। 

তবে এসবের ভিড়ে দু’দফা আন্দোলন করে নিজ ক্যাম্পাসের শিক্ষককেই পরবর্তী উপাচার্য হিসেবে দেখতে চেয়েছেন কিছু শিক্ষার্থী৷  ইবির অভ্যন্তরীণ ইস্যুর এ আন্দোলনে কিছু অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুল পড়ুয়া ও বহিরাগতদের দেখা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ যেন আদার ব্যাপারীর জাহাজের খোঁজ নেওয়ার মতো অবস্থা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কোটা পুনর্বহাল করা চলবেনা (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়) নামের গ্রুপে গতকাল রাতে একাধিক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে এমন পোস্ট করেন এনামুল হোসাইন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘বহিরাগত কোনো স্কুল শিক্ষার্থীরা যদি ইবির ভিসি নিয়ে কথা বলতে আসে এর থেকে লজ্জার কিছু নেই। নিউজে দেখেছি ইবির স্থানীয় বিতর্কিত ভিসি প্রার্থীরা ছাত্রদলের মদদে এসব করাচ্ছে। অত্যন্ত লজ্জার বিষয়!’ 

পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় তাজমিন খান নামের একজন মন্তব্য করেন বলেন, এমন স্বাধীনতাই কি চেয়েছিলাম? শেখপাড়ার মানুষ এসে আমাদের ভিসি চয়েজ করে দিচ্ছে।

মো. এনামুল হক পুলক নামের অন্য আরেকজন লিখেন, আপনারা কি নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্যারকে ভিসি হওয়ার যোগ্য মনে করেন না? বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু আমাদের ভিসিও হবে আমাদের স্যার এটায় হওয়া উচিত। তাহলে এত জট থাকবে না। নিজের ব্যাথা অন্যকে দিয়ে খোঁজার চেয়ে নিজে খোঁজ করা অনেক ভালো এবং কার্যকরি।

এ বিষয়ে পোস্টদাতা এনামুল হোসাইনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভিসি ক্যাম্পাস থেকে হবে এমন আন্দোলন হতেই পারে। যে দল ইচ্ছে করতে পারে। কিন্তু প্রথমত যে স্যারের নাম এসেছে, উনি বিতর্কিত এবং আন্দোলনে যারা এসেছে অধিকাংশ স্কুল পড়ুয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য সার্বজনীন আন্দোলনে যে কেউ অংশ নিতে পারে। কিন্তু ভিসি নির্ধারণ আন্দোলনে যদি স্কুল শিক্ষার্থীরা আসে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মান আর থাকলো কোথায়!


সর্বশেষ সংবাদ