নতুন নিয়োগ বন্ধ রাখতে কুবি শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন

  © সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ এনে সকল প্রকার নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুবি শিক্ষক সমিতি। 

রবিবার (২৩ জুন) দুপুর ৩টায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় টিচার্স লাউঞ্জে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় শিক্ষক তারা বলেন, গত ২৮ এপ্রিল শিক্ষকদের ওপর বর্বরোচিত হামলায় অংশগ্রহণকারী বহিরাগত সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন মামলার আসামি সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রায় সবাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা পদে আবেদন করেছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও তদন্ত রিপোর্ট কবে দাখিল করা হবে, সে বিষয়ে শিক্ষকরা জানেন না। তাদের আশঙ্কা, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পূর্বেই উপাচার্য শিক্ষক ও কর্মকর্তা পদে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন এবং শিক্ষকদের ওপর হামলাকারীরা এসব পদে নিয়োগ পাবে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষকরা উপাচার্যের নিকট নতুন নিয়োগ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য লিখিত ও মৌখিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।

তারা আরও বলেন, পূর্বে অ্যাকাডেমিক নীতিমালার ন্যূনতম শর্ত (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় ক্ষেত্রে) পূরণ না করা সত্ত্বেও এবং বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশে বাতিলকৃত একজন প্রার্থীর আবেদন উপাচার্যের একক ক্ষমতার অপব্যবহার করে মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে অনুমোদন করে ওই প্রার্থীকে মার্কেটিং বিভাগের একজন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন।

'আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ৩টি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান এবং ২টি অনুষদে ডিন নিয়োগ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৪০ জন অধ্যাপক এবং প্রায় ৭৫ জন সহযোগী অধ্যাপক থাকা সত্ত্বেও উপাচার্য নিজেই আইন অনুষদের ডিনের দায়িত্ব নিয়েছেন। যার মাধ্যমে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বঞ্চিত করেছেন।' তারা যুক্ত করেন। 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল (২৪ জুন) ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান ও পরিসংখ্যান বিভাগের নিয়োগ প্রক্রিয়া হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়াও আগামী ২৭ তারিখে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) এবং ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি(আইসিটি) বিভাগের নিয়োগ হওয়ার কথা রয়েছে। 

তবে সংবাদ সম্মেলনের পর উপাচার্যের সাথে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ নিয়োগ বন্ধের দাবি জানাতে গেলে উপাচার্য উদ্ভূত সমস্যা সমাধান না হওয়ার আগে নিয়োগ দিবেন না বলে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানা গেছে। নিয়োগ বন্ধ রাখার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈন কে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence