কুবি উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে ১০ম দিনেও শিক্ষকদের অবস্থান 

কুবি উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে ১০ম দিনেও শিক্ষকদের অবস্থান 
কুবি উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে ১০ম দিনেও শিক্ষকদের অবস্থান   © সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান এর নেতৃত্বে অছাত্র ও বহিরাগত সাবেক শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় পদত্যাগ ও অপসারণের এক দফা দাবিতে দশম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক সমিতি। 

আজ রবিবার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে তারা অবস্থান  কর্মসূচি পালন করেন৷ 

কর্মসূচির বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা এখনও এক দফা দাবিতেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। পরবর্তীতে নতুন কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হলে সেটা সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক হবে। 

তিনি আরও বলেন, ২৮ তারিখের ঘটনায় শিক্ষকদের উপর হামলা এবং শিক্ষকদের দাবির আলোকে দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির কাজ তদন্ত কমিটি করবে। এক দফা দাবিতে আমরা এখনো অনড় আছি। একজন উপাচার্য কখনো শিক্ষকের গায়ে হাত দিতে পারেন না। কিন্তু তিনি সেটা করেছেন । তাই আমরা মনে করি উপাচার্য তার পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছে। যে উপাচার্যের কাছে শিক্ষক নিরাপদ না আমরা সে উপাচার্যকে চাই না।

শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের এই কর্মসূচি স্বৈরাচারী উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে যিনি ইতিমধ্যে দুর্নীতিবাজ, স্বৈরাচারী, মিথ্যাবাদী উপাচার্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই। এই উপাচার্যের উপস্থিতিতে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠু হবে না বলে আমরা মনে করি। কারণ তিনি ইতিমধ্যে শিক্ষকদের উপর হামলা করেছেন। এ উপাচার্যের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দেশের সর্বোচ্চ অথরিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাষ্ট্রপ্রতির নিকট আমাদের অনুরোধ, এই উপাচার্যকে খুব দ্রুত অপসারণ করে শ্রেণির কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে ফিরে আসুক।

উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত, জাহিদ হাসান এবং আইকিউএসির পরিচালক ড. রশিদুল ইসলাম শেখের নেতৃত্বে অছাত্র ও বহিরাগত সাবেক শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষকদের উপর হামলা করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ