এবার ৬ শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ কুবি উপাচার্যের

রবিবারের ঘটনা
রবিবারের ঘটনা  © টিডিসি ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) হাতাহাতির ঘটনায় শিক্ষক সমিতির থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর এবার ৬ শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈন। উপাচার্যের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান ও সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাদেক হোসেন মজুমদার। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরসহ ২০ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান, মো. মোরশেদ রায়হান, প্রফেসর ড. মো. শামিমুল ইসলাম, ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, ও মো. মাহফুজুর রহমানের নামে নাম উল্লেখ্য করা হয়ে। 

এতে সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন কুবি প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী, মো. সাহেদুর রহমান, মো. জাহিদ হাসান, প্রফেসর ড. মোঃ আসাদুজ্জামান, ও মো. মোশারফ হোসাইনের নাম উল্লেখ্য করা হয়েছে। 

অভিযোগপত্রে বলা হয়, বর্ণিত বিবাদীগণ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে আদিষ্ট আছেন। শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন দাবির বিষয় নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বর্ণিত সাক্ষীদের সাথে বিবাদীদের মত বিরোধ চলে আসতেছিল। তদ্বাক্রোশে বিবাদীগণ উপাচার্যসহ বর্ণিত সাক্ষীদের উপর চড়াও হয়ে গত রবিবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকের সামনে বেআইনি জনতাবদ্ধে দাঙ্গা হাঙ্গামার উদ্দেশ্যে সমবেত হন। ওই সময় উপাচার্যসহ বর্ণিত সাক্ষীগণ তাদের নিজ নিজ কর্মস্থল কক্ষে প্রবেশের প্রাক্কালে তাহাদের গতিরোধ করতঃ টানাহেঁচড়া করে নাজেহাল ও সম্মানহানি করে। তখন বিবাদীরা বর্ণিত সাক্ষীদেরকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে সাধারণ জখম করতঃ উপাচার্যসহ সাক্ষীদের কর্তব্য কাজে বাধা প্রদান করে তাদের সরকারি কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকসহ লোকজন এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে উপাচার্যসহ বর্ণিত সাক্ষীদেরকে উদ্ধার করেন।

তবে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উপাচার্য কর্তৃক মারধরে স্বীকার হয়েছেন মোর্শেদ রায়হান। বাংলা বিভাগের শিক্ষক মোকাদ্দেস-উল-ইসলামের গালে ঘুসি দেন প্রক্টর ওমর সিদ্দিকী। পরে প্রক্টর, কোষাধ্যক্ষ ও উপাচার্যের নির্দেশে শিক্ষকদের মারধর করেন চাকরিপ্রার্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা।

থানায় অভিযোগের বিষয়ে সাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, উপাচার্যের নির্দেশে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। যেভাবে আমার ফাইল তৈরি করা হয়েছে সে অনুযায়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। বাকিটা থানা সংশ্লিষ্টরা বুঝবে। 

শিক্ষকদের মারধরকারী সাবেক শিক্ষার্থীদের বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়নি কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাবেক শিক্ষার্থীদের বিষয়টি আমার কাছে আসেনি। 

এই বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ছাদেক হোসেন মজুমদার বাদী হয়ে শিক্ষক সমিতির ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আমরা এই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।


সর্বশেষ সংবাদ