ছাত্রী হেনস্তা: ফের আন্দোলনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় অবস্থান শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় অবস্থান শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি  © টিডিসি ফটো

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ফের আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত শিক্ষকদের বহিষ্কার চেয়ে আবারো প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান নিয়েছেন তারা। এ সময় তদন্ত কমিটির কাজের সময় বেধে না দেওয়া এবং দুই শিক্ষকের নাম আসলেও একজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

আন্দোলনকারীরা শিক্ষক সাজন সাহার পাশাপাশি মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগেরও তদন্তের দাবি জানান। এর আগে বুধবার তিন সদস্যের ‘উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি’ গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। 

ট্রেজারার ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. আতাউর রহমানকে আহবায়ক করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অন্য দুই সদস্য হলেন, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার ও সিন্ডিকেট সদস্য উম্মে সালমা তানজিয়া এবং শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ ও সিন্ডিকেট সদস্য ড. এ কে এম আব্দুর রফিক।

অফিস আদেশে বলা হয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা’ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব সাজন সাহা এর বিরুদ্ধে তাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের অশোভন আচরণ ও হয়রানি করার অভিযোগ দাখিল করেছেন। 

আরো পড়ুন: জবির হলে নির্যাতনে ছাত্রী অজ্ঞান, সাংবাদিককে হুমকি

এ ঘটনার পূর্বাপর তদন্তপূর্বক একটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপাচার্য মহোদয় নিম্নোক্ত ‘উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি’ গঠন করছেন। অফিস আদেশে তদন্ত কমিটিকে অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ শিক্ষক সাজন সাহার বিরুদ্ধে ফেসবুকে প্রথম হেনস্তার বিষয়টি সামনে আসে। তার বিরুদ্ধে মধ্যরাতে চা পানের নিমন্ত্রণ, অংক বুঝাতে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকা ও প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় নম্বর কমিয়ে দেওয়া এবং থিসিস রিপোর্ট তৈরিতে হয়রানি করার অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থী। 

ছাত্রীদের শাড়ি পরে তার সঙ্গে দেখা করতে বলা, ইনবক্সে ছবি চাওয়া, রিকশা নিয়ে ঘুরতে যাওয়া, ক্যাম্পাসের বাহিরে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার নিমন্ত্রণ, ম্যাসেঞ্জারে অন্তরঙ্গ ভিডিওর লিংক শেয়ার করার মতো নানান অভিযোগ আসে শিক্ষক সাজন সাহার বিরুদ্ধে। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।


সর্বশেষ সংবাদ