৩৪ বছর ধরে তিতুমীরের মসজিদের দায়িত্ব পালন করছেন আবদুল আলিম
- আমান উল্যাহ আলভী
- প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৪৭ PM , আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৪৭ PM
রাজধানীর বুকে সবুজ শ্যামলে ঘেরা সরকারি তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের আরও নান্দনিকতা বাড়িয়ে তুলেছে এর ভেতরে মসজিদ। প্রতিদিন কয়েকশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মিলনমেলা ঘটে এই মসজিদে। বিশেষ করে ক্লাস চলাকালীন জোহরের নামাজে কানায় কানায় পূর্ণ থাকে মসজিদটি।
জানা যায়, ১৯৮৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। এ মসজিদের উদ্বোধক ছিলেন তৎকালীন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক সালাউদ্দিন। এই মসজিদটি পাঁচ কাটা জায়গার উপর নির্মিত। মূল মসজিদের দৈর্ঘ্যে ৩০ ফিট এবং প্রস্থে ৩০ ফিট।
এছাড়াও সম্প্রতি মসজিদটির বাইরে বারান্দা অংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বারান্দা অংশের দৈর্ঘ্য ৪০ ফিট এবং প্রস্থে ৫০ ফিট। বর্তমানে মসজিদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন খতিব, ইমাম-মোয়াজ্জেন, খাদেমসহ চারজন।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর মসজিদটি এত উন্নত ছিলো না। তখন টাইলস, অজুখানাসহ আধুনিক কোনো সংযোজনই ছিল মসজিদটিতে।
মসজিদের ইমাম মো. আবদুল আলিম ১৯৯০ প্রথম দায়িত্বে আসেন। তখন থেকে কেটে গেছে ৩৪ বছর। প্রথম ৯ বছর তিনি সহকারীর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর থেকে তিনি ইমামের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি বলেন, মসজিদ ইবাদের জন্য উপযুক্ত স্থান। শুরুর দিকে এ মসজিদের সেরকম সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও পর্যায়ক্রমে এখন অনেক কিছুই সংযোজন করা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ মসজিদে এসে নামাজে অংশ নেন।
তিনি বলেন, ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তুলনামূলক উপস্থিতি বেশি দেখা যায়। এসময় মসজিদের বাইরেও সারি করতে হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাইরে আশেপাশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরাও এ মসজিদে নামাজে অংশ নেন।
এখনো মসজিদের অনেক সংস্কার কাজ বাকি রয়েছে বলে জানান ইমাম মো. আবদুল আলিম। তিনি বলেন, বর্তমানে এই মসজিদটি পাঁচতলা করা দরকার। বৃষ্টি হলে নামাজ পড়তে বেশি সমস্যা হয়। বিশেষ করে শুক্রবারে পুরো মসজিদের দাঁড়ানো জায়গা থাকে না।