প্রীতিভোজের খাবার নিয়ে ছাত্রলীগের মারামারির ঘটনা তদন্ত করছে কুবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে বিজয় দিবসে প্রীতিভোজের খাবার বণ্টনকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত পাঁচ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন।

শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল প্রশাসনের এক সভায় রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ৪ চার কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সভা শেষে হল প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে প্রীতিভোজের খাবার বিতরণের সময় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। পরবর্তী সময়ে ওইদিনই বিকেল চারটায় পুনরায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।

সভায় উপস্থিত সদস্যরা এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে করণীয়  নির্ধারণে আলোচনা করেছেন।

শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের মারামারির ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন আবাসিক শিক্ষক মাকসুদুর রহমান এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান খান।

আরও পড়ুন: খাবারের টোকেন নিয়ে কুবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি, আহত ৫

ঘটনার সুষ্ঠু ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত করে আগামী চার কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ হল প্রভোস্ট বরাবর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কমিটির সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান জানান, আমাদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং চলতেছে। কিছুক্ষণ আগেও কয়েকজনের সাথে কথা বলেছি। আমরা গতকাল চিঠি পেয়েছি। আমাদের চার কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত জমা দিতে বলা হয়েছে। এজন্য  আমরা এখনই সমাপ্তির দিকে যাচ্ছি না।

শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ১৬ তারিখ যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত করতে একটি কমিটি করেছি। তবে ওই ঘটনায় এখনও কেউ আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ না দিলেও তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। যাতে এই সমস্যাটি দীর্ঘায়িত না হয়।


সর্বশেষ সংবাদ