ইবির হলে হলে সন্ধ্যার পর উচ্চশব্দে গান-বাজনা নিষিদ্ধ

 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলসমূহে সন্ধ্যার পর উচ্চশব্দে গান-বাজনা নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল শনিবার (৯ ডিসেম্বর) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। আজ শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ ডিসেম্বর আবাসিক হলসমূহে রাতে উচ্চশব্দে গান-বাজনা বন্ধের দাবিতে লিখিত অভিযোগ দেয় শিক্ষার্থীরা। নিয়মিত গানবাজনা তথা উচ্চশব্দে মাইক বাজানোর ফলে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছে না এবং শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তারা। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তারা।

লিখিত অভিযোগে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের হলগুলোতে প্রায়ই রাতে উচ্চশব্দে গান বাজানো হয়, সেটা কয়েকবার নিষেধ করার পরেও বন্ধ হয় না। প্রতিনিয়ত গভীর রাত পর্যন্ত গান তথা উচ্চশব্দে মাইক বাজানোর ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছে না। উচ্চস্বরে গান বাজানোর ফলে পড়ালেখার পরিবেশ বিঘ্ন হচ্ছে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষকে বারবার বলার পরও কোনো সুরহা হয়নি। শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাধিত করবেন।

অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরি সভা ডেকে হলে উচ্চশব্দে গান-বাজনা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। ইবির বিভাগ ইনস্টিটিউটগুলোতে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে চলে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। এ জন্য শিক্ষার্থীরা এই সময় রিডিং রুমে পড়তে যান। কিন্তু উচ্চশব্দে গানবাজনার কারণে ঠিকমতো পড়তে পারেন না বলে জানান ছাত্র হলের একাধিক শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে গান-বাজনা নিষিদ্ধ করে কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা উচ্চশব্দে গান-বাজনা করছিল। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছিল। শিক্ষার্থীরা প্রক্টরকে অবগত করলে তা বন্ধ করে বিভাগটি।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, উচ্চশব্দে গান-বাজনা বন্ধের বিষয়ে কিছু শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে পরের দিনই এ বিষয়ে জরুরি সভা হয়। সেখানে উচ্চশব্দে গান-বাজনা বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এরপরেও যদি কেউ এটি অমান্য করে তাহলে কর্তৃপক্ষ আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, রাতে উচ্চশব্দে গান-বাজনা বন্ধের একটি প্রজ্ঞাপন হয়েছে। যেটি আগামীকাল থেকে কার্যকর হবে।


সর্বশেষ সংবাদ