সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের জন্ম কোথায় তা চিন্তার দরকার: জবি নীলদল

দেশব্যাপী সহিংসতার প্রতিবাদে জবি নীলদলের মানববন্ধন
দেশব্যাপী সহিংসতার প্রতিবাদে জবি নীলদলের মানববন্ধন   © টিডিসি ফটো

দেশব্যাপী সংঘটিত সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। 

মানববন্ধনে নীলদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদের জন্ম কোথায় সেটি ভালোভাবে চিন্তা করা দরকার।  গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান একজন পুলিশ সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে। অথচ তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা প্রচারণা করেছিল। তাদের জন্মই হয়েছে অশান্তির মাধ্যমে,বন্দুকের নলের মাধ্যমে। 

মানববন্ধনে নীলদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, বাংলাদেশে যখনই কোন বিষয়ে আন্দোলন হয় তখনই একটি গ্রুপ আগুন নিয়ে এগিয়ে আসে। আগুন দিয়ে একটা নীল নকশা বাস্তবায়ন করে ওই গ্রুপ। এর উদ্দেশ্যে হল বাংলাদেশ যেন সামনের দিকে কোনভাবেই এগিয়ে যেতে না পারে। বিএনপি-জামায়ত এই প্রবণতার ধারাবাহিকতা রক্ষা করছে। আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী সবাইকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে এসব অপচেষ্টার বিরুদ্ধে।

নীলদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ২০১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করা বিএনপি-জামায়তই গত ২৮ অক্টোবর সহিংসতা চালিয়েছে। তারা এদেশ ধ্বংস করতে চায়। তাদের নেতা তারেক রহমান যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করতে পারেনি তাই সে চায় ছাত্ররাও তার মতো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করুক। বিএনপি-জামায়ত দেশকে ধ্বংস করতে চায়, আর আওয়ামী লীগ চায় দেশকে এগিয়ে নিতে।

আরও পড়ুন: গাছ কাটার প্রতিবাদে জাবি ভিসিকে অবরুদ্ধ করল শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. প্রতিভা রানী কর্মকার বলেন, বিএনপি ও জামায়াত জ্বালাও পোড়াও রাজনীতি করছে। সাধারণ মানুষ এসব আগ্রাসী কর্মকাণ্ড পছন্দ করেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আত্মত্যাগ করেছেন, রক্ত দিয়েছেন এই দেশের জন্য। এই দেশ কোন গুটি নয় যে পরাশক্তির কাছে মাথা নত করবে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, অপশক্তিকে চিহ্নিত করতে হবে। তাদের সাথে কোন আপোষের সুযোগ নেই। আপোষ করে কখনো রাজনীতি হয়না। বঙ্গবন্ধু কখনো আপোষ করেন নি। আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচন ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যেভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেটিই আমাদের বড় শক্তি। জাতীয় নির্বাচনেই প্রমাণ হবে জামায়াত-শিবির ক্ষমতায় থাকবে নাকি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে।

জবি নীলদলের প্রচার সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক কাজী ফারুক হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন নীলদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ-উল-আলম, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল্লাহ্ আল্ মাসুদ, শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার,ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. জি এম আল আমীন, জবি কর্মকর্তা সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজী এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন সহ অন্যান্যরা।

মানববন্ধনে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন জবি নীলদলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মমিন উদ্দীন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক,শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।


সর্বশেষ সংবাদ