মিটিং চলাকালে প্রবেশ, ছাত্রলীগ নেতার ওপর ক্ষেপলেন ইবি ভিসি

মিটিং চলাকালে কার্যালয়ে প্রবেশ করায় ক্ষিপ্ত হন ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম
মিটিং চলাকালে কার্যালয়ে প্রবেশ করায় ক্ষিপ্ত হন ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম  © সংগৃহীত

উপাচার্যের কার্যালয়ে মিটিং চলাকালীন অনুমতি ব্যতীত সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে সরাসরি প্রবেশের অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বির বিরুদ্ধে।

রাব্বি ও তার সহযোগীরা মিটিং চলাকালীনই উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলার আল্টিমেটাম দিলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম চেয়ার থেকে উঠে আসেন। এসময় রাব্বি ও তার সহযোগীদের ওপর ক্ষিপ্ত হন উপাচার্য। রবিবার (১৬ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সততা ফোয়ারা চালুর দাবিতে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বির নেতৃত্বে মানববন্ধন করেন তার সহযোগীরা।  

মানববন্ধন শেষে তারা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যান। এসময় উপাচার্যের কার্যালয়ে বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের সাথে উপাচার্যের মিটিং চলমান ছিল। উপাচার্য মিটিংয়ে থাকায় কার্যালয়ের বাইরে ১৫/২০ মিনিট অপেক্ষা করেন তারা।  

পরে বিনা অনুমতিতে উপাচার্যের রুমে ঢুকে পড়েন আন্দোলনকারীরা। উপাচার্য তাদেরকে মিটিং শেষে দেখা করতে বলে কিন্তু তারা এখনই তাদের দাবি জানাতে পীড়াপীড়ি শুরু করে। পরে সুদীপ্ত শাফি (ইংরেজি ১৯-২০) উপাচার্যকে বলে, আপনাকে এখনই আমাদেরকে সময় দিতে হবে।  

এতে উপাচার্য ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ার ছেড়ে তাদের দিকে এগিয়ে আসে। এসময় ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন শিক্ষার্থীদেরকে বোঝাতে চেষ্টা করেন এবং শিক্ষার্থীরা স্যারদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। এরপর উপাচার্য তাদের দাবি শুনে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে তারা সেখান থেকে চলে আসেন।

এ বিষয়ে মৃদুল হাসান রাব্বি জানান, আমরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি মিটিংয়ে থাকায় আমরা বাইরে অপেক্ষা করি। তিনি একটি মিটিং শেষ করে ডিনদের সঙ্গে আরেকটি মিটিং শুরু করেন। এসময় আমরা তার কক্ষে প্রবেশ করলে তারা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে।

ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন বলেন, আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। শিক্ষার্থীদের এমন আচরণ করা উচিত হয়নি। উপাচার্য তাদের সঙ্গে পরে কথা বলতে চাইলেও তারা তখনই কথা বলতে চান। এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ কাম্য নয়।

তবে এ বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


সর্বশেষ সংবাদ