আইন অনুযায়ী গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:০১ PM , আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:১৫ PM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মন্ত্রী। সোমবার (৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের একক ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সকলের প্রয়োজন বিবেচনা করে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, যিনি একইসাথে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর তার নির্দেশনা অনুযায়ী হচ্ছে। আইন মেনেই এ পরীক্ষা হচ্ছে। আমরা আশা করবো সকলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।’
আরো পড়ুন: সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা বছরে দু'বারও হতে পারে
এদিকে, সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতিতে থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে সোমবার (৩ এপ্রিল) মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে চার শতাধিক শিক্ষকদের অংশগ্রহনে এ মানববন্ধন শেষে উপাচার্যের কক্ষে অবস্থান নেয় মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা শিক্ষকরা।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা বলেন, গুচ্ছ এমন একটি প্রক্রিয়া যা কোন গবেষণা ছাড়াই আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। এ চাপিয়ে দেওয়ার কারো নেই। আর সবচেয়ে লজ্জার বিষয় হলো গত ১৫ মার্চ একাডেমিক কাউন্সিলের নিজস্ব পদ্ধতিতে যে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় সে সিদ্ধান্তগুলো কার্য বিবরনে বিকৃত ভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে গুচ্ছে অংশগ্রহণের ফলে আমাদের যে সেশনজট তৈরি হয়েছে তা আসলেই দুঃখজনক।
আরো পড়ুন: গুচ্ছে থাকবে না জবি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ৮ ফেব্রুয়ারি
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, মাননীয় উপাচার্য আমাদের আজকের দাবিগুলো মেনে নিয়ে আবারো ৫/৬ তারিখে বিশেষ একাডেমিক সভার আহ্বান করেছেন। ওই একাডেমির সভায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য একটি কেন্দ্রীয় কমিটি ও ইউনিট ভিত্তিক কমিটি গঠন করে আগামী ৮ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভায় সেগুলো উন্থাপন করা হবে। আর গত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত গুলো বিকৃতভাবে লিপিবদ্ধ করা হয় সেটাও আমাদের উপস্থিতিতেই সংশোধন করে দেন উপাচার্য।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, আগামী ৮ তারিখ সিন্ডিকেটের আহ্বান করা হয়েছে। ওই সিন্ডিকেট সভায় সকল বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।