ভালো পড়াশোনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও আসবে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় লোগো
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় লোগো  © ফাইল ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি অধিভুক্ত উচ্চশিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। ১৯৯২ সালে গাজীপুর জেলার বোর্ডবাজারে ১১.৩৯ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির লেখা-পড়ার চাহিদা অনুযায়ী বর্তমান বিশ্বে অবস্থান চতুর্থ। বর্তমানে সারাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ রয়েছে ২,২৮৩ টি। অধিভুক্ত এসব কলেজে অধ্যয়ন করছেন ২৮ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান আচার্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন ড. মোঃ মশিউর রহমান।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে (অনার্সে) মানবিক শাখার বিষয়সমূহে মানবিক শাখার জন্য ৯০% আসন বরাদ্দ থাকে এবং বিজ্ঞান ৫% ও ব্যবসায় প্রশাসন শাখার জন্য ৫% করে আসন বরাদ্দ থাকে। অনার্সে বিজ্ঞান শাখার বিষয়সমূহে বিজ্ঞানের ১০০% আসন বরাদ্দ থাকে। ব্যবসায় প্রশাসন শাখার বিষয়সমূহে ব্যবসায় প্রশাসন শাখার জন্য ৯০% আসন এবং বিজ্ঞান শাখার জন্য ৫% ও মানবিক শাখার জন্য ৫% আসন বরাদ্দ থাকে।

আবেদন যোগ্যতা:
বিগত বছরের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মানবিক শাখায় ভর্তি হতে হলে এসএসসিতে জিপিএ থাকতে হবে ৩.৫ এবং এইচএসসিতে জিপিএ থাকতে হবে ৩.০০। বিজ্ঞান শাখায় এসএসসিতে জিপিএ থাকতে হবে ৩.৫ এবং এইচএসসিতেও থাকতে হবে সমান পয়েন্ট। আর ব্যবসায় শিক্ষায় ভর্তির জন্য এসএসসিতে জিপিএ থাকতে হবে ৩.৫ এবং সমান পয়েন্ট থাকতে হবে এইচএসসিতেও। 

তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনার্সে চলমান শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য প্রার্থীকে এইচএসসি ও এসএসসি সম্পন্ন হতে হবে তখনকার চলমান বছর এবং তার পূর্ববর্তী বছর।

যা জানা জরুরি:
১. ভর্তির জন্য একজন শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যে কোন একটি কলেজে আবেদন করতে পারবেন।

২. মেরিট লিস্টে সুযোগ না পেলে শিক্ষার্থীদের রিলিজ স্লিপে আবেদন করতে হবে; সাধারণত ২ বার রিলিজ স্লিপ দেয়। রিলিজ স্লিপে যে সকল কলেজে আসন সংখ্যা ফাঁকা থাকে সে সকল কলেজের মধ্যে ৫টি কলেজে আবেদন করতে পারবেন।

৩. বিজ্ঞান থেকে ব্যবসায় অথবা বিজ্ঞান থেকে মানবিকে অর্থাৎ বিভাগ পরিবর্তন করে ফরম তুলতে হলে শিক্ষার্থীদের আবেদনের সময় যতগুলো বিষয় প্রদর্শন করবে সব গুলোতেই পছন্দ দিতে পারবেন। 

৪. ভালো কলেজ ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি কলেজে আলাদা আলাদা মেরিটের ভিত্তিতে ভর্তি নিয়ে থাকে। এর মধ্যে যাদের জিপিএ বেশি থাকবে তারাই আগে সুযোগ পাবে।

৫. যাঁদের জিপিএ মোট ৮ থেকে ৮.৫০ পয়েন্ট আছে তারা অনেক ভালো কলেজ পছন্দ করলেই করলে ভর্তির সুযোগ হবে না; একটু সাধারণ কলেজে চেষ্টা করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। সাধারণত সরকারি কলেজে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে মাত্র ৪০ শতাংশ। আবার যাঁদের জিপিএ মোট ৮.৫০ থেকে ৮.৮০ পয়েন্ট আছে তাঁরা মোটামুটি ভালো কলেজ গুলোতে ভর্তি হতে পারেন; এখানে ভর্তির সম্ভাবনা থাকে ৮০শতাংশ। এছাড়াও যাঁদের জিপিএ ৫.০০ পয়েন্ট আছে তাঁরা একদম ভালো কলেজে আবেদন করা ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে। আর বিজ্ঞানের বিষয়গুলো পেতে চাইলে মোট জিপিএ ৯.৫০ থেকে ১০.০০ থাকলে ভালা হয়।

৬.সরকারি কলেজ আর বেসরকারি কলেজর মধ্যে পার্থক্য শুধু খরচের দিক থেকে। সরকারিতে খরচ কম আর বেসরকারিতে সাধারণত খরচ বেশি। বেসরকারিতে খরচ কলেজ ভেদে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। হয়তো কোথাও কম আবার কোথাও আবার একটু বেশি। আর সরকারি কলেজ আর বেসরকারি কলেজর সার্টিফিকেট এর মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না; কারণ সেখানে কলেজর নাম উল্লেখ থাকে না ।সবার সার্টিফিকেট একই ধরনের হয়ে থাকে।

৭. ভবিষ্যতে চাকরির জন্য বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে মোটামুটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিষয়ই ভালো। বাংলাদেশে বিসিএস ক্যাডার, সরকারি চাকরি পাওয়া মানে হল সোনার হরিণ পাওয়া। তবে বাংলাদেশে চাকরির পরীক্ষা গুলোতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান এই গুলো থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে; যারা এই বিষয় গুলো নিয়ে পড়বে তারা একটু সুবিধা পেতেই পারে। তবে এটা সত্য যে, যেই বিষয়েই পড়াশোনা হোক না কেন, ভালোভাবে পড়লে অবশ্যই সফলতার মুখ দেখতে পারবে শিক্ষার্থীরা।


সর্বশেষ সংবাদ