মারামারি-সংঘর্ষে বছর পার ঢাকা কলেজের, ৪ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বিদায়
- হাসান তামিম, ঢাকা কলেজ
- প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:৪৫ PM , আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:৫১ PM
সংক্রামক মহামারির ধাক্কা সামলে নানা প্রতিবন্ধকতার পর ঢাকা কলেজ নতুন করে বছর শুরু করেছিল শিক্ষার মানোন্নয়নসহ নানান একাডেমিক পরিকল্পনা নিয়ে। পুরনো বছরের নানা প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির মেলবন্ধনের জড়তা কাটিয়ে অদম্য বাংলাদেশ গড়তে এক ঝাঁক দক্ষ, মেধাবী ও যোগ্যতাসম্পন্ন মননশীল নাগরিক তৈরি করার এ চ্যালেঞ্জে বছরজুড়েই নানা কারণে আলোচনায় ছিল প্রায় দ্বি-শতক পুরনো এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
আঠারো একরের ক্যাম্পাসে রাজনীতি, মারামারির মতো সাধারণ ঘটনার পরও কেমন ছিল বিগত বছর? ঢাকা কলেজ নানা কারণে, বিভিন্ন সময়ে সংবাদের শিরোনাম হয়েছে। তবে বছরের সবচেয়ে আলোচিত খবর ছিল তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ।
নিরাপত্তা বাড়াতে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা
শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ক্যাম্পাসের আশেপাশে বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুরো ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসকে ৭৫টি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়ে শুরু হয় ২০২২ সাল। বছরের শুরুতে জানুয়ারির ২ তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত কলেজের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ক্যামেরা বসানোর কাজ করা হয়। ঢাকা কলেজের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছিল স্থানীয় থানা পুলিশও। এর সুফলও পাওয়া গেছে বছর জুড়ে। কলেজের বৈদ্যুতিক তার চুরি, কলেজের সামনের সড়কে ছিনতাইয়ের ঘটনা সহ বেশ কয়েকটি অপরাধের ঘটনায় সিটিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
ওমিক্রন: পুরোদমে অনলাইন ক্লাস
নতুন বছরের পথচলার গতিময়তায় এবারও ছন্দ পতন ঘটায় করোনার নতুন ধরণ। ওমিক্রন রোধে জানুয়ারির ২১ তারিখ থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও অনুরূপ ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী বন্ধ হয় ঢাকা কলেজের সরাসরি ক্লাস। তবে সশরীরে ক্লাস বন্ধ হলেও খোলা ছিল কলেজের আবাসিক হল।
পরবর্তীতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রেণীকক্ষে সরাসরি পাঠদান দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করার পর আবারও অনলাইন ক্লাসে ফেরে ঢাকা কলেজ। আর এ দুর্যোগকালীন সময়ে অনলাইন ক্লাস শুধুমাত্র ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরাই নয়; ক্লাস উন্মুক্ত রাখা হয় দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্যও।
৩৩২ কৃতি শিক্ষার্থীকে প্রথমবারের মতো সংবর্ধনা
২০২২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ৫৩ জন, বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০ জন, বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের ৩২ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৮ জন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৯ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এসব কৃতি শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতেই ঢাকা কলেজের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো সংবর্ধনা দেওয়া হয় মোট ৩৩২ মেধাবী শিক্ষার্থীকে।
বাসে ‘হাফ ভাড়া’ বিতণ্ডা: উত্তাল ফেব্রুয়ারি-মার্চ
বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি মৌমিতা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের দুই বাস আটক করে শিক্ষার্থীরা। এরপর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় ঢাকা কলেজের তিন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করে মিরপুর মেট্রো সার্ভিসের পরিবহন শ্রমিকরা। এরই জেরে ওই পরিবহনের ৯টি বাস আটক রাখে শিক্ষার্থীরা। মার্চ মাসেও ঘটে এমন অনেক ছোট-বড় ঘটনা। এসবের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে সরকারি সিদ্ধান্তে হাফভড়া কার্যকর করা হয় শিক্ষার্থীদের জন্য।
এক শিক্ষক ও ৩ শিক্ষার্থীর বিদায়
গত ১ অক্টোবর অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সনজিদা আক্তার ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি লিভার সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম ব্যাচের কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। এছাড়াও ভিন্ন ভিন্ন দুর্ঘটনায় এহসানুল ইসলাম রিজভী, মাহফুজুর রহমান শান্ত ও মোঃ সাবাব আজাদকেও হারায় প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিল ঢাকা কলেজ
সততার চর্চা বাড়াতে ‘সততা স্টোর’
চলতি বছর ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য কলেজ প্রশাসনের উদ্যোগে চালু করা হয় ‘সততা স্টোর।’ এই স্টোরে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় নানা শিক্ষা উপকরণ, খাদ্য-পানীয় বিক্রির জন্য রাখা হয়। তবে এর বিশেষত্ব হলো বিক্রেতাহীন এ দোকানে কোন নজরদারি ছাড়াই শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো প্রয়োজন অনুসারে পণ্য সংগ্রহের পর তালিকা দেখে সংরক্ষিত বক্সে দাম পরিশোধ করতে পারে। কলেজের মূল ভবনের তিন নম্বর গ্যালারি সামনে স্থাপিত সততা স্টোরে সাজানো রয়েছে খাতা, কলম, পেন্সিলসহ নানা ধরণের শিক্ষা উপকরণ।
অবসরে ৭৪তম অধ্যক্ষ
দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের ইতি টেনে চলতি বছরের ২৪ মার্চ অবসরগ্রহণ করেন ঢাকা কলেজের ৭৪তম অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। যারমধ্য দিয়ে ইতিঘটে দীর্ঘ ৩২ বছরের বর্ণাঢ্য এক অধ্যায়ের। অধ্যাপক সেলিম ১৯৮৯ সালে ৮ম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) কর্মকর্তা হিসেবে শিক্ষকতা পেশায় নাম লেখান। ৩২ বছরের শিক্ষকতায় ঢাকা কলেজে ৩ বারের পদায়নে মোট ২০ বছর শিক্ষক হিসেবে ও টানা সাত বছর আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
টক অব দ্যা কান্ট্রি: ত্রিমুখী সংঘর্ষে ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থী-পুলিশ
ঢাকা কলেজকে নিয়ে বছরের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা। তুলকালাম এ কাণ্ড ঘটে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল দিবাগত রাত বারোটায়। নিউমার্কেটের ভেতর দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। ঘটনার জেরে শুরু হয় সংঘর্ষ যা পরবর্তী তিন দিন পর্যন্ত জন্ম দিতে থাকে নানা ঘটনা আর দুর্ঘটনার।
আরও পড়ুন: ঢাকা কলেজ থেকে বই-পুস্তক নিয়ে পাঠদান শুরু করেছিল ঢাবি
ঘটনার পরদিন দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৩টা ও সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা সংঘর্ষে ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থী ও পুলিশের ছোঁড়া ইট পাটকেল ও টিয়ারগ্যাসে ঢাকা কলেজের তিনশোও অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। যাদের মধ্যে গুরুতর আহত হয় পঞ্চাশ-জনেরও অধিক। এছাড়াও ত্রিমুখী এ সংঘর্ষে আহত হন সংবাদকর্মীরাও।
এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় ক্যাম্পাস ও হল। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হল ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা যেকোনো মূল্যে আবাসিক হল এবং ক্যাম্পাসে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। পরে এসব ঘটনার জেরে পুলিশের ভূমিকায় সংশ্লিষ্ট ডিসি, এডিসি, ও নিউমার্কেট থানার ওসির প্রত্যাহারসহ দশ দফা দাবি জানান ঢাকা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষকদের কর্মবিরতি
চলতি বছরের ১২ জুন ময়মনসিংহের গফরগাঁও সরকারি কলেজে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডার কর্মকর্তাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, লাঞ্ছনা, কটূক্তি ও সরকারি সম্পত্তি ভাংচুরের প্রতিবাদে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষকরা। কর্মবিরতি ও মানববন্ধন থেকে শিক্ষকরা বলেন, মফস্বল এলাকায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা অধিকাংশ সময়ই নানানভাবে রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের দ্বারা লাঞ্ছিত হওয়া এমনকি মারধরের শিকারও হয়ে থাকেন। নানা কারণে এসব ঘটনার কোনো সুষ্ঠু বিচার হয়না। যার ফলশ্রুতিতে কিছুদিন পরপরই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এসময় তারা কর্মক্ষেত্রে সবার জন্য সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানান।
চারমাস পর নতুন অধ্যক্ষ
পূর্ববর্তী অধ্যক্ষের অবসরের পর দীর্ঘ চারমাস পর গত ৪ জুলাই নতুন অধ্যক্ষ পায় ঢাকা কলেজ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (সরকারি কলেজ -২ শাখা) চৌধুরী সামিরা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফকে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়নের আদেশের কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ ১৯৯৩ সালে ১৪তম বিসিএসে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সবশেষ তিনি ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ হিসেবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ঢাকায় প্রেষণে কর্মরত ছিলেন।
মশায় অতিষ্ঠ শিক্ষাজীবন
সারাবছরই মশার কামড়ে অতিষ্ঠ ছিলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। দিনে রাতে সমানতালে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন তারা। দিনের বেলাতেও কয়েল জ্বালিয়ে বসতে হয়েছে ক্লাসে। পাঠকক্ষ, ছাত্রাবাস, মসজিদ সবজায়গাতেই মশার প্রকোপ বাড়লেও কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি তেমন কোন উদ্যোগ। বিভিন্ন স্থানে ময়লার স্তূপ, জমানো পানি আর স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশের কারণে মশার ব্যাপক বংশ বিস্তারের ফলে ডেঙ্গু জ্বরেও আক্রান্ত হতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
ছাত্রলীগের নতুন কমিটির প্রতীক্ষা ছিল বছরজুড়েই
গত দুই যুগে মাত্র চারটি কমিটি পেয়েছে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ। এর মধ্যে একটি আবার আহ্বায়ক কমিটি। দীর্ঘদিন কমিটির খরায় শিক্ষার্থীরা যেমন রাজনীতি বিমুখ হয়েছেন তেমনিভাবে কলেজ শাখার রাজনীতিতে জড়িত থেকে কর্মীরাও ছিলেন হতাশায়। ফলে ২০২২ সাল জুড়ে নতুন কমিটির অপেক্ষায় ছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
নতুন কমিটি দাবিতে অবরুদ্ধ জয়
বছরের শেষ সময়েও নতুন কোন কমিটি না পাওয়ায় কলেজ ছাত্রলীগের কমিটির দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় কে অবরুদ্ধ করে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গত ৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে দশটায় নিউমার্কেট এলাকায় জয়ের গাড়ীবহর আটকে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। যদিও অবরুদ্ধ থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে আল নাহিয়ান খান জয়।
একইদিন রাত ১০:৫০ মিনিটের দিকে মিরপুর রোডের সাইন্স-ল্যাবরেটরি থেকে নীলক্ষেত অভিমুখের সড়কে কলেজ ছাত্রলীগের কয়েকশ নেতাকর্মী অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এতে সড়কের সবধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন কমিটির দাবিতে সড়ক অবরোধ করা ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরে ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে বলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন নেতা। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কথা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক।