কুবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:৩৪ PM , আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:৩৪ PM
যথাযোগ্য মর্যাদায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হলেও আলাদা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শাখা ছাত্রলীগ।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে র্যালি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদের দুইটি অংশ এবং সাংবাদিক সমিতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাদদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন কমিটির আহ্বায়ক ড. মুহ. আমিনুল ইসলাম আকন্দের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ১৯৭১ সালে বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার জন্য ১৪ ডিসেম্বর বাঙালির উপর নির্মম গণহত্যা চালায়। তারা আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরকে হত্যা করেছে, যেটা আমরা এখনও পূরণ করতে পারি নাই। যদি আমরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একত্র হতে পারি তাহলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন শহীদ ধীরন্দ্রনাথ দত্তের কথা স্মরণ করে বলেন, ৮৫ বছর বয়সে হাত-পা ভেঙ্গে তাকে ও তার পুত্রকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং নির্মমভবে তাদের হত্যা করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ছিল বলেই স্বদেশ ছেড়ে চলে যাননি। এখান থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
বুদ্ধিজীবী দিবস পালন কমিটির আহ্বায়ক ড. মুহ. আমিনুল ইসলাম আকন্দ সমাপনী বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু একক নেতৃত্বে যখন এই দেশ স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন পাকিস্তানের হায়নার দল এই হত্যাকান্ড চালায়। আজকের এইদিনে আমরা সামাজিক ভাবে এই হায়নার দল এবং যারা তাদের অনুসরণ করেছে তাদের সবাইকে বর্জন করবো এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
প্রসঙ্গত, বাদ জোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।