‘স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় রাখতে হবে’
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২২, ১০:০৫ PM , আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২২, ১০:১৭ PM
যারা দেশ কে পেছনে নিয়ে যাওয়ার পায়তারা করছে তাদের সুযোগ দেওয়া যাবে না। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় রাখতে হবে; তাহলে দেশ এগুবে-বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে `শেখ রাসেল দিবস-২০২২' এর আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন প্রেক্ষিতে মানবাধিকারের কথা বলা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করার সময় কোন মানবাধিকার সংগঠন এগিয়ে আসে নি; এমনকি পরবর্তীতে তারা এ বিষয়ে প্রতিবাদও করেনি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সদা সচেষ্ট রয়েছেন। আমাদের শেখ রাসেলের অকাল মৃত্যুর শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমদ এবং সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ ইব্রাহিম খলিল।
আরও পড়ুন: ‘ছাত্রলীগকে গুটিকয়েক নেতাকর্মীর ভুলের দায় দেয়া উচিত না’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, `৭৫ পরবর্তী হতে ৯৫' পর্যন্ত বাংলাদেশের তেমনি কোন উন্নয়ন ঘটেনি, যেমনি ঘটেছে বর্তমান সরকারের সময়ে। দেশের জন্য স্বাধীনতা এনে বঙ্গবন্ধু কখনও আয়েশি ও দম্ভের জীবন যাপন করেন নি। তিনি তাঁর সন্তানদেরও সাধারণ জীবন-যাপনে অভ্যস্ত করতে চেয়েছিলেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান, লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ মনিরুজ্জামান খন্দকার, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মোঃ লুৎফর রহমান, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মোঃ জহুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল কাদের, কর্মচারী সমিতির সভাপতি এরশাদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন এবং সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি আবু সাঈদ প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কেক কাটা হয় ও বঙ্গবন্ধু পরিবারসহ সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।