উদ্ভাবনী মানুষ গড়ার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়গুলো: শিক্ষামন্ত্রী
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০২ জুন ২০২২, ০৮:৫১ PM , আপডেট: ০২ জুন ২০২২, ০৯:৫৭ PM
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছেন। এখন তিনি এই বাংলাদেশকে এক উদ্ভাবনী বাংলাদেশ হিসেবে দেখতে চান। কাজেই বিশ্ববিদ্যালগুলো যেন আমাদের উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ার মানুষ তৈরি করে। তারা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির শুধু ব্যবহার নয়, নতুন নতুন উদ্ভাবন দিয়ে সুখী, সুন্দর এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে নগরীর খড়খড়ি বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত প্রথম সমাবর্তন অনুষ্টানে সভাপতির বক্তব্যে এই কথা বলেন তিনি।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা লক্ষ্য স্থির করুন। আপনাদের মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা, শ্রম এবং অধ্যবসায় দিয়ে লেগে থাকবেন। লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই। তবে একটু খেয়াল রাখবেন, আপনাদের সাফল্যে যাতে কখনও অসততার কলুষতায় কালিমা লিপ্ত না হয়।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে আপনাদের এই অধ্যবসায়, শ্রমের সঙ্গে আপনাদের পরিবারের অনেক ত্যাগ এবং আশির্বাদ জড়িত। আপনাদের শিক্ষকদের ভালোবাসা জড়িত। আপনারা সবার প্রতি আপনাদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবেন।
আরও পড়ুন: বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থী পেলেন ডিনস অ্যাওয়ার্ড
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর তার বক্তৃতায় বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমি সোনার মানুষ চাই। এই সোনার মানুষ গড়ার দায়িত্বটা এখন আমাদের সবার। এই সোনার মানুষ এমনি এমনি তৈরি হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা যারা অবিভাবক, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ এবং সমাজের গুরুত্বপূর্ণ মানুষ আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের সন্তানেরা শুধু যে দুধে-ভাতে বড় হবে তা নয়। তারা যেন প্রকৃত মানুষ হিসেবে বড় হয়। সেই প্রকৃত মানুষ হবার জন্য যে মানবিক গুনাবলির বিকাশ দরকার, সেই বিষয়গুলো আমাদের শিক্ষার মধ্যে সন্নিবেশিত করতে হবে।
উত্তরাঞ্চলে প্রথম সরকার ও ইউজিসি অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়টির আচার্য ও রাষ্ট্রপতি এ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের প্রতিনিধি হিসেবে তিন অনুষদভুক্ত ১০টি বিভাগের প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করেন শিক্ষামন্ত্রী। সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়টির দুইজন শিক্ষার্থীকে ‘আচার্য স্বর্ণপদক’ ও ৯ জন শিক্ষার্থীকে ‘উপাচার্য স্বর্ণপদক’ও প্রদান করেন তিনি।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম. খায়রুজ্জামান লিটন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ্র চন্দ, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, উপদেষ্টা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সাইদুর রহমান খান এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক এম. ওসমান গনি তালুকদার প্রমুখ।
সমাবর্তনের দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ব্যান্ড সঙ্গীত দল ওয়ারফেজ, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী সামিনা চৌধুরী ও এই প্রজন্মের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ফাতিমা তুয যাহরা ঐশীও সঙ্গীত পরিবেশন করেন।