ইউআইইউতে জাতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট রির্সাচ সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫২ PM , আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫২ PM

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের উদ্যোগে দ্বিতীয় জাতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট রির্সাচ সিম্পোজিয়াম (ইউআরএস) ২০২৪’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে ইউআইইউ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউআইইউ ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্স রিসার্চের (আইএআর) নির্বাহী পরিচালক এবং পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ইমেরিটাস ড. এম রিজওয়ান খান।
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ইউআইইউর উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইউআরএস২০২৪ এর কনভেনার এবং ইউআইইউ স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ এইচ. আর. জোয়ার্দার এবং এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইউআইইউ স্কুল অব বিজনেস এন্ড ইকোনমিক্সের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসা।
অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘প্রতিটি শিক্ষার্থী একজন গবেষক। একজন গবেষক হিসেবে আপনাকে সবসময় অনুসন্ধানী মানসিকতা নিয়ে এগোতে হবে। প্রতিটি দিন আপনার মস্তিষ্ককে পরিচর্যা করতে হবে, তবেই চিন্তার প্রসার বৃদ্ধি পাবে।’
অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, একজন গবেষকের মধ্যে সবসময় প্রশ্ন থাকবে। তিনি কোথায় আছেন, সেটা ল্যাবরেটরিতে, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বাড়িতে। তাকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে সেভাবে এগোতে হবে। এটা একটা খেলার মতো, একজন গবেষক সবসময় বিজয়ী হবেন না। তবে তিনি তার গবেষণার বিষয়ে সবসময় অনুসন্ধান চালিয়ে যাবেন। আপনি একবার দুইবার কিংবা তৃতীয় বারেও হেরে যেতে পারেন। কিন্তু আপনাকে থেমে গেলে হবে না। আপনাকে চালিয়ে যেতে হবে। কারণ আপনি সমাজের জন্য জ্ঞান অন্বেষণ করছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েরই সমাজের কাছে দায়বদ্ধতা আছে। আজকে সিম্পোজিয়ামে সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আছে৷ এটাই ইতিবাচক। আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ গবেষণা নির্ভর হওয়া উচিত।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, একটি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে গবেষণায় জড়িত থাকা দরকার। এই ধরনের সম্পৃক্ততা তাদেরকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য বেশি অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং ভবিষ্যতে একজন গবেষক হওয়ার জন্য এই সিম্পোজিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক তরুণ শিক্ষার্থী দুইটি ডোমেইনের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন। এদের থেকে ১০ দলকে চূড়ান্ত পর্যায়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়। প্রতি বিষয়ে সেরা রির্সাচ পেপার কে প্রথম পুরস্কার হিসাবে ১ লাখ টাকা এবং প্রথম রানার আপকে ৬০ হাজার টাকা এবং ২য় রানার আপকে ৪০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
ডোমেইন ১ চ্যাম্পিয়ন হন ইউআইইউ শিক্ষার্থী রামিসা রুতবাতা হোসাইন অবন্তিকা এবং রাজিন আল-তানজিম ভূঁইয়া। প্রথম রানার আপ হন ইউআইইউ শিক্ষার্থী ফাইয়াজ বিন জুলফিকার ও সামিহা তাসনিম প্রমি এবং দ্বিতীয় রানার আপ হন আছিয়া বেগম, মারুফ হাসান আরিফ, মেসবাহ আমিন এবং মাকসুদুর রহমান।
ডোমেইন ২ চ্যাম্পিয়ন হন ইউআইইউ শিক্ষার্থী মুহতাসিম আহমেদ চৌধুরী। প্রথম রানার আপ হন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তৌসিফ আবরার ফাইয়াজ, নুর আফরিন চৌধুরী অনন্যা এবং মাইশা জাহিন। দ্বিতীয় রানার আপ হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ শিক্ষার্থী তারিফ হাসান, রাফিয়া তাবাসসুম সারা এবং আয়মান ইলিয়াস চৌধুরী।