জুলাই আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভূমিকার প্রশংসা রূপা হকের
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪০ PM , আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪৪ PM
ঢাকায় সফররত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য (এমপি) ড. রূপা হককে সংবর্ধনা দিয়েছে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার (৮ জানুয়ারি) উত্তরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামসুল আলম লিটন।
অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকার প্রশংসা করেন রূপা হক। তিনি বলেন, তাদের সম্পর্কে আগে মানুষের ভিন্ন রকম ধারণা ছিল। সেটা তারা বদলে দিয়েছে। বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে ব্রিটেন এবং ইউরোপের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে ব্রিটিশ এমপি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কাজ করবেন।
রূপা হক বলেন, ৫ আগস্টের আগের বাংলাদেশ ও পরের বাংলাদেশের মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তরুণ ছাত্ররা এ পরিবর্তন এনেছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ফসল নতুন বাংলাদেশের সামনে বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তরুণরাই পারবে এ পরিবর্তন ধরে রাখতে।
অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি ছিলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট’র পরিচালক আ ন ম এহসানুল হক মিলন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান আরিফুল বারী মজুমদার, সদস্য-সচিব মো. কামরুজ্জামান লিটু ও সদস্য মো. জোনায়েত আহমেদ।
আরো পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ইউজিসির সঙ্গে সভায় বসছেন উপাচার্যরা
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (পুনাব) মুখপাত্র নাজমুল আহসান, নির্বাহী সদস্য মোনালিসা, মো. আসিফ রেজা ও এহসান চৌধুরীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এ সময় এমপি রূপা হকের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন তারা।
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন বলেন, দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চা বাড়াতে হবে। তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলকে স্বাগত জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামসুল আলম লিটন বলেন, ৫ আগস্টের আগের নৈরাজ্যের ক্যাম্পাসে এবং নৈরাজ্যের সড়কে আমরা আর ফিরতে চাই না। আমরা চাই, কোনো ক্যাম্পাসে আর একজনেরও রক্ত ঝরবে না। পুলিশ আর কোনোদিন ছাত্রদের বুকে গুলি চালাবে না। এসব পরিবর্তন কার্যকর করতে রাজনীতিবিদদের বাধ্য করতে হবে।