বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহে ইউআইইউ’র শিক্ষার্থীরা

বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ শেষে শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা।
বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ শেষে শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা।  © টিডিসি ফটো

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১২টিরও অধিক জেলায় বন্যার্তদের সহায়তার জন্য ত্রাণ সামগ্রী ও অর্থ সংগ্রহ করছেন বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২৪ আগস্ট) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করছে উচ্চশিক্ষালয়টির শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বানভাসি মানুষের সহায়তায় বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে রয়েছে ইউআইইউর চারটি টিম। গতকাল শিক্ষার্থীরা সংগ্রহ করেছে প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। 

শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যার্তদের সহায়তার জন্য তারা ত্রাণ এবং অর্থ সংগ্রহ করছেন। এতে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। তারা বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সহায়তার চেষ্টা করছেন। এছাড়াও নগদ অর্থ সংগ্রহও করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সংগৃহীত শুকনো খাবার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, স্যালাইন এবং পোশাক পৌঁছে দেওয়া হবে দেশের বন্যার্ত এলাকাগুলোতে। সেজন্য তারা সকলের কাছে সহায়তাও চেয়েছেন।

আরও পড়ুন: এমআইটি-হার্ভার্ডের মতো গবেষণাগারের সুযোগ ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে

বর্তমানে ইউআইইউ’র চারটি দল বন্যা কবলিত ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লায় রয়েছেন। এর মধ্যে দুইটি দল উদ্ধার কাজ এবং বাকী দুটি দল ত্রাণ সহায়তা প্রদান করছে। পুরো কাজটি তদারক করছেন ইউআইইউ’র সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাবের সদস্যরা। তারা বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা নিয়েও কাজ করছেন।

সামগ্রিক বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে ইউআইইউ’র সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শাকিব হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমরা বন্যার্তদের সহায়তায় ত্রাণ সামগ্রী এবং অর্থ সংগ্রহ করছি। বন্যাকালীন এ সময়ে বানভাসি মানুষদের সহায়তায় আমাদের চারটি টিম কাজ করছে। আমাদের ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে এবং এটি বাড়ানো হবে। আমরা সবাইকে আমাদের ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে আরও বেশি সহায়তা করার আহ্বান জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন: পরিশ্রম ও শৃঙ্খলাময় পড়াশোনায় সোনা মোড়ানো সাফল্য তাদের

ভারতীয় ঢল আর ভারী বৃষ্টিতে বন্যা কবলিত হয়েছে বাংলাদেশের কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও নোয়াখালীসহ কয়েকটি জেলা। ভারী বৃষ্টিপাত ও প্রবল স্রোতের কারণে বন্যার পানিতে ডুবে, পাহাড় ধসে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এখন পর্যন্ত ১৮ জন মারা গেছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েকজন।

গত বুধবার (২১ আগস্ট) থেকে ফেনীসহ আট জেলায় হঠাৎ বন্যা দেখা দেয়। তবে তার কয়েকদিন আগে থেকেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে অনেক জেলায়। এরপর বাঁধ ভেঙে ও বাঁধ উপচে বৃহস্পতিবার আরও চার জেলার অনেক জায়গা তলিয়ে যায়। এছাড়াও চাঁদপুর এবং লক্ষ্মীপুরেও পানি বাড়তে শুরু করেছে।


সর্বশেষ সংবাদ