বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকটের দুই কারণ জানালেন এনআই খান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০৭:৪৬ PM , আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ০৭:৫৪ PM
সাবেক শিক্ষা সচিব ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান (এনআই খান) বলেছেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। এর দুটি কারণ রয়েছে। একটি হলো-স্বল্প বেতন; আরেকটি হলো শিক্ষকদের নিজ বাড়ি থেকে অনেক দূরের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে হয়।
শনিবার (২৯ জুন) ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ কর্পাস: পাবলিক লেকচার সিরিজ-২০২৪’ এর অংশ হিসেবে “বাংলাদেশের স্কুল, দক্ষতা এবং শিক্ষার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।
স্বল্প বেতনের কারণে শিক্ষকতা পেশায় তরুণরা আসছে না জানিয়ে সাবেক শিক্ষা সচিব বলেন, আমাদের জিডিপি অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন ঠিক আছে বলে ধরা হয়। তবে বর্তমান বাজার চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষকদের যে বেতন দেওয়া হয়, তা চাহিদার তুলনায় কম। এই অল্প বেতনে শিক্ষকরা নিজ বাড়ি থেকে অনেক দূরের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে আগ্রহ দেখান না। এজন্য শিক্ষক সংকট দূর করা যাচ্ছে না।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমানে যারা বিসিএস ক্যাডার হচ্ছেন, তাদের ৭০ শতাংশই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান। চিকিৎসকের সন্তান চিকিৎসক হচ্ছেন। কৃষকের সন্তান খুব কমই বিসিএস ক্যাডার হচ্ছে। যারা যে পেশার সাথে সম্পৃক্ত, তাদের সন্তানেরা সেই পেশাতেই আসছে।
আমাদের দেশে যারা উচ্চশিক্ষিত হয় তাদের অধিকাংশই বাইরে চলে যায় জানিয়ে এনআই খান বলেন, আমাদের উচ্চশিক্ষিতদের দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা কম, তারা কোনো বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠায় না। অন্যদিকে শ্রমজীবীদের দেশের প্রতি টান বেশি থাকে। তারা কষ্ট করে অর্থ উপার্জন করে। সেই অর্থ দেশে পাঠায়। এই অর্থ দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।
সাবেক শিক্ষা সচিব বলেন, অনেকেই বলছেন, শিক্ষা থেকে মুখস্থ বিদ্যা তুলে দেবেন। তবে মুখস্থ বিদ্যারও দরকার আছে। আপনি চাইলেও শিক্ষার্থীদের মুখস্থ করা থেকে বের করে আনতে পারবেন না। মুখস্থ করা ছাড়া আপনি নামাজ পড়তে পারবেন না। একজন গায়ক গানের কলি মুখস্থ না করলে তিনি সেভাবে গান গাইতে পারবেন না। শিক্ষাকে জীবনের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব রিডিং-এর প্রফেসর নিয়াজ আসাদুল্লাহ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের কিউরেটর এবং বাংলাদেশ সরকারের সাবেক শিক্ষা সচিব জনাব নজরুল ইসলাম খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউআইইউ’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবুল কাশেম মিয়া এবং ইউআইইউ’র স্কুল অফ বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মুসা।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী এবং আমন্ত্রিত অথিতিরা উপস্থিত ছিলেন।