ডুয়াল সেমিস্টারে ফিরলো আইইউবিএটি

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি  © ফাইল ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বেঁধে দেওয়া ডুয়াল সেমিস্টারভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরেছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি)। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এ নির্দেশনা অনুসরণের কথা থাকলেও প্রক্রিয়াকরণ জটিলতায় আগেই সময় চেয়ে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এখন থেকে বছরে তিন সেমিস্টারের পরিবর্তে দুই সেমিস্টারে শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। তবে অপরিবর্তিত থাকছে গ্রেডিং পদ্ধতি।

আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে আইইউবিএটিতে শুরু হয়েছে নতুন সেমিস্টারের শিক্ষা কার্যক্রম। ইউজিসির বেঁধে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন এ সেমিস্টার শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ডুয়াল সেমিস্টারের পাশাপাশি গ্রেডিং পরিবর্তনে ইউজিসির নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না আইইউবিএটি।

আইইউবিএটি সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বছরে ৪ মাসের মোট ৩টি সেমিস্টার ছিল। তবে এ সেমিস্টার থেকে ইউজিসির বেঁধে দেওয়া নিয়ম মেনেই বছরে দুই সেমিস্টারে কার্যক্রম হবে। তবে গ্রেডিং আগের মতোই থাকছে। আগের নিয়ম অনুযায়ী, সর্বোচ্চ গ্রেড ‘এ+’ ৯০ নম্বর থাকছে। আর পাস নম্বর ৬০।

ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) ওমর ফারুক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি ও ডুয়াল সেমিস্টারে আসার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে এ নির্দেশনা কার্যকরের কথা থাকলেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তা মানছে না। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ডুয়াল সেমিস্টারে আসলেও এখনো অনেকে নিজস্ব গ্রেডিং পদ্ধতিতে রয়েছেন।

ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া গ্রেডিং সিস্টেম অনুযায়ী, ৮০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেলে ‘এ+’ গ্রেড বা ৪ পয়েন্ট দেয়া হবে। ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশের কম হলে দেয়া হবে ‘এ’ গ্রেড বা ৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট। ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশের কম হলে ‘এ-’ গ্রেড বা ৩ দশমিক ৫ পয়েন্ট দেয়া হবে।

একইভাবে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশের কম নম্বর পেলে ‘বি+’ গ্রেড বা ৩ দশমিক ২৫ পয়েন্ট, ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশের কম হলে ‘বি’ গ্রেড বা ৩ পয়েন্ট ও ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশের কম হলে ‘বি-’ গ্রেড বা ২ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট দেয়া হবে।

এছাড়া ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ নম্বর পেলে ‘সি+’ বা ২ দশমিক ৫ পয়েন্ট, ৪৫ থেকে ৫০ নম্বরের কম হলে ‘সি’ ও ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশের কম নম্বর হলে ‘ডি’ গ্রেড বা ২ পয়েন্ট দেয়া হবে। আর ৪০ শতাংশের কম নম্বর পেলে ‘এফ’ গ্রেড, যা অনুত্তীর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

সেমিস্টার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দেওয়া ইউজিসির চিঠিতে বলা ২০২২ সালে বলা হয়েছিল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ২৪(৩) এবং ৩৫(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি প্রোগ্রাম ও কোর্স অনুমোদনের অন্যতম শর্ত হলো ‘প্রোগ্রামটি অবশ্যই ডুয়াল সেমিস্টার ভিত্তিতে পরিচালনা করতে হবে।

বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চাহিদা অনুযায়ী, কমিশন প্রণীত আউটকাম বেজড এডুকেশন (ওবিই) টেমপ্লেট অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব প্রোগ্রাম বাই-সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরিচালনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তদুপরি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন, ২০১৭-এর ১৫ ধারার আওতায় প্রণীত বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্কেও (বিএনকিউএফ) অনুরূপ বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনুরূপ পদ্ধতি অনুসরণ করছে।

ইউজিসির চিঠিতে আরও বলা হয়, এ অবস্থায় দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই ধরনের শিক্ষা পদ্ধতি (বাই-সেমিস্টার) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিশন প্রণীত নির্দেশনা অনুসরণপূর্বক বাই-সেমিস্টার পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম আবশ্যিকভাবে পরিচালনা করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হলো।

জানতে চাইলে আইইউবিএটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আল আমীন সিকদার শিহাব বলেন, ইউজিসির নির্দেশনার অনুযায়ী আজ থেকে আইইউবিএটিতে ডুয়াল সেমিস্টারে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রক্রিয়াকরণ জটিলতায় এর আগে এটা শুরু করা যায়নি। তবে নির্দেশনা বাস্তবায়নে ইউজিসি থেকে আগেই সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে। ডুয়াল সেমিস্টার শুরু হলেও গ্রেডিং পদ্ধতি আগের নিয়মেই থাকছে।


সর্বশেষ সংবাদ