ডাক্তার হওয়া হলো না জহিরুলের

স্বজনদের আহাজারি
স্বজনদের আহাজারি  © সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবা ও মামীও মারা গেছেন। এছাড়া আরও দুজন আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ মে) ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত দুইজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

নিহত অন্য দুইজন হলেন- চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাদরা গ্রামের হোসেন আলী বেপারীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৫৮), জহিরুলের মামী রাহেলা বেগম (৫৫)। আহতরা হলেন, আলমগীর হোসেনের বড় ছেলে নজরুল ইসলাম (৩০) ও প্রাইভেট কার চালক ইব্রাহিম খলিল সুজন (৩৩)।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা কুয়েত প্রবাসী আলমগীর হোসেন সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় কাদরা গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বেড়ানো শেষ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মামী রাহেলা বেগমকে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশে ঢাকাতে নিয়ে আসছিলেন তিনি।

পথে রাত দেড়টার দিকে তাদের প্রাইভেটকারটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া মানাবে ওয়াটার পার্কের সামনে আসলে পেছন থেকে একটি কাভার্ডভ্যান প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দিলে দিলে তা রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এ সময়ে আলমগীর হোসেনসহ ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনজন। চালকসহ আহত দুইজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহগুলো বর্তমানে পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে। কাভার্ডভ্যানটিকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

তিনি আরও বলেন, রাত দেড়টার দিকে ঢাকাগামী প্রাইভেটকারটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া মানাবে ওয়াটার পার্কের সামনে আসলে পেছন থেকে একটি কাভার্ডভ্যান ধাক্কা দেয়। এ সময় গাড়িটি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম, তার বাবা আলমগীর হোসেনসহ ৩ জন।

পরে চালকসহ আহত ২ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান দমকল বাহিনীর সদস্যরা।


সর্বশেষ সংবাদ