চার বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের বৈধতা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ  © ফাইল ছবি

অনুমোদন বাতিল হওয়ায় ‘দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা’র সনদ গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না। এছাড়াও, দেশের ৪ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চার বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের বৈধতার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গঠন করা কমিটির প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি ও সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, সাইন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি ফাউন্ডেশন (এসআইটি) এবং দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) ড. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। সে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এ উপসচিব। এতে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) সোনা মনি চাকমা, উপসচিব (কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ) মো. কামরুল হাসান ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের উপরিচালক (কলেজ) মো. এনামুল হক হাওলাদার কমিটির সদস্য ছিলেন।

কমিটি ও তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নে উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী, ২০০৬ থেকে ২০১৬ সালের ৪ মার্চ পর্যন্ত যথাযথ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা পেয়েছেন কি না তা যাচাইয়ের সুপারিশ করে কমিটি। অন্যদিকে শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটির সনদ গ্রহণের বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে তথ্য চাওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। 

এছাড়াও, দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার অনুমোদন বাতিল হওয়ায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সনদ গ্রহণযোগ্য নয়। পাশাপাশি,
সাইন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি ফাউন্ডেশন (এসআইটি) সনদের বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে তথ্য চাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে দারুল ইহসানের বিষয়ে বলা হয়, রিট পিটিশনের রায় প্রচারের পর থেকে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় আইনের দৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিগণিত নয়। উক্ত নির্দেশনার আলোকে সরকার দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করবে এবং ভবিষ্যতে এই নামে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার অনুমতি প্রদান করবে না। নির্দেশনার আলোকে রিট মামলার রায় প্রচারিত হওয়ার পর দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সনদ আইনত বৈধ নয়। তবে রিট পিটিশনের রায় প্রচারিত হওয়ার পূর্বের সনদসমূহের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের ইচ্ছাধীন এবং তা রায়ে অবৈধ মর্মে ঘোষণা করা হয়নি।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্বিক পর্যালোচনা শেষে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশ জারির পর দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রিট পিটিশনের রায় প্রচারিত হওয়ার পূর্বে অর্জিত সনদসমূহের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বিষয়ে সাব কমিটি কর্তৃক সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নরূপ সুপারিশ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বিতর্কিত চার বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের বৈধতাসংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়। স্কুল-কলেজে শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওভুক্তিসংক্রান্ত বিষয়ে এসব সনদ গ্রহণযোগ্য হবে কি না নির্ধারণে এই কমিটি কাজ করে। এ বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য চাইলে আমরা তথ্য দিয়েছি। দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদসংক্রান্ত আদালতের একটি রায় রয়েছে। সেটি কার্যকর করা হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ